• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

২৫০ টাকার তরমুজ ৪ কি.মি দূরে যেতেই হচ্ছে ৭০০ টাকা!

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ২৪ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৯:৩৪, ২৪ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

রাজধানীর ফলের আড়ৎ বাদামতলীতে ৮-১০ কেজি ওজনের যেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বের বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এসে সেটি হয়ে যাচ্ছে ৬ থেকে ৮শ টাকা। 

তবে আরও দেড় কিলোমিটার দূরের হাতিরপুল বাজারে পাওয়া গেল কিছুটা কম মূল্যে। যদিও এখানেও কম তফাৎ নয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে। এই বাজারে একই তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০টাকা। তবে বাইতুল মোকাররমের সামনে ছোট তরমুজ পাওয়া না গেলেও হাতিরপুলে ছোট ও মাঝারি তরমুজের দাম দেখা গেল তুলনামূলক অনেক বেশি। বাদামতলিতে যেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় সেটি এই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।  

আরও এক কিলোমিটার দূরের কারওয়ান বাজারেও পাওয়া গেল প্রায় একই চিত্র। এতো দামের কারণ জানতে চাইলে বরাবরের মতো অযুহাতের শেষ নেই বিক্রেতাদের। তারা দাবি করেন, পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম বেশি, যাতায়াতে অনেক বেশি খরচ হয়। বাদামতলি থেকে কারওয়ান বাজারে পৌঁছাতে তরমুজপ্রতি খরচ হয় ১০০ টাকার মতো। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয় তাদের।

আরও পড়ুন: পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি

শুধু যে তরমুজের এই অবস্থা তা নয়, বাদামতলীতে মানভেদে যে আপেল কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২৩০ টাকায়। একটু সামনে বাবু বাজার ব্রিজের নিচে সেই আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে সাড়ে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। বাইতুল মোকাররমের সামনে সেই আপেল বিক্রি করতে দেখা যায় ৩৫০ টাকা দামে। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়- বাদামতলিতে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেয়ারা অন্য বাজারে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে ১০০-১২০টাকায়, ২০ টাকার আনারস বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকায়, ২০০-২২৫ টাকার সাদা আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি ও খুচরা বাজারে ফলের দামের এত বড় ব্যবধানের জন্য ক্রেতারা দায়ী করছেন বাজার মনিটরিংয়ের অভাবকে। পাইকারি বিক্রেতারাও বলছেন, খুচরা বাজারে প্রশাসনের তত্ত্বাবধান থাকলে রমজানে এতটা বিশৃঙ্খলা হতো না ফলের বাজারে।

হাতিরপুল বাজারে ফল কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিদফতর কত জায়গায় কত অভিযান চালায় কিন্তু ফলের বাজারে কোনো অভিযান দেখি না। বাজারগুলো মনিটরিং করা গেলে হয়তো এই অস্থিরতা থাকতো না। 

বাদামতলি ফলের আড়তের আড়ৎদার আব্দুল হাকিম বলেন, তরমুজের বাজারে এখন যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে এটা আসলে ঠিক নয়। এখন তরমুজের দাম কমে এসেছে। পাইকারি বাজারে আমরা এখন যে দামে বিক্রি করছি এটা নিম্ন আয়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু খুচরা বাজারে গিয়ে এই তরমুজের দাম যে বেড়ে যাচ্ছে সেটাতো আমাদের দায় নেই। এখানে বাজার মনিটরিং করা দরকার। একজন বিক্রেতা তরমুজপ্রতি ৫০ টাকা লাভ করলেইতো অনেক। কিন্তু তারা দ্বিগুণের বেশি চাওয়ার কারণে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। 

আরও পড়ুন:  দুর্গম চরাঞ্চলে তরমুজ চাষে ভাগ্য বদল চাষিদের

আজিম উদ্দিন নামের আরেক আড়ৎদার অভিযোগ করে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট শুধু পাইকারি বাজারে আসেন। ভ্যানওয়ালাদের সেখানেও মনিটরিং দরকার। আমরা কম দামে দিলেও তারা ঠিকই দ্বিগুণ লাভ করতে চাচ্ছে। এ কারণে বাজার অস্থির হয়ে আছে।

শিগগিরই ফলের বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উদ্যোগি হবে এবং ফলগুলো ভোক্তাদের নাগালে আসবে এমনটা প্রত্যাশা ক্রেতা-বিক্রেতা সবার।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2