শুল্কের ব্যাপারে এবার ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দফতরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকের ফলে শুল্কারোপের পরিমাণ কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ যৌক্তিক নয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের উপর যে শুল্ক আরোপ করেছে তা আলোচনার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এরই মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং বাণিজ্য সচিবও যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে চিঠি দেওয়া হলেও, এটি আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি নয়। ৯ জুলাই বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে ইউএসটিআরের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, শুল্কের ব্যাপারে এবার ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে। দেশটির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। আলোচনায় যাই হোক তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করছি সরাসরি অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে শুল্ক আরোপের পরিমাণ কমে আসবে।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধি দলে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও।
এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।
আর গত ৩ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিলো। তবে সেটি তিন মাসের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিলো।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: