অস্থিতিশীল বাজার, বেড়েছে বেশিরভাগ জিনিসের দাম

ঈদের পর থেকেই বাড়তি চালের দাম। গত এক মাস ধরে মিল থেকেই বেশি দামে চাল আনতে হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এজন্য মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন তারা। নতুন করে বাড়ানো হয়েছে তেলের দামও। সব ধরনের মুরগি আর মাছের বাজারেও দাম বাড়তির দিকে। সবজিও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। তবে অনেকটাই নেমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম।
ভরা মৌসুমেও চালের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেকে মুক্তি মিলছে না কিছুতেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, এক মাস ধরে মিল থেকেই ৫০ কেজির বস্তা ৩০০ টাকা বাড়তি দিয়ে আনতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে সরু চাল কেজিতে ৯০ ও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
এদিকে, নতুন করে সয়াবিন তেলের বাড়তি দাম নির্ধারণ হয়েছে। কার্টুন প্রতি বেড়েছে ৪০ টাকা। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তবে, যারা দাম বাড়ার আগে কিনে রেখেছেন, আগের দামেই বিক্রি করতে পারছেন তারা। বেড়েছে ডালের দামও। দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০ টাকা বেশিতে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।
অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে শসার দাম। বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। অন্যান্য শাকসবজির দামও বেড়েছে। আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৩৫০ টাকা দামের কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়।
ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজারেও। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হলে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকবে। স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: