• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ৭ মার্চ ২০২২

আপডেট: ১৯:৩২, ৮ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় দরপতন

ডিএসই ও সিএসই’র লোগো

প্রায় দুই বছরের মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে আজ। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৭ মার্চ) ডিএসই’র প্রধান সূচক ১৮২ পয়েন্ট কমে গেছে। এর আগে সবশেষ ২০২০ সালের এতো বড় দরপতন হয়েছিলো ডিএসইতে। 

পুঁজিবাজারের এই দরপতনকে ‘অস্বাভাবিক’ বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পুঁজি করে কোনো চক্র বাজারে প্যানিক সৃষ্টি করছে। যার ফলে এতো বড় দরপতনের ঘটনা ঘটেছে।

দিনের লেনদেন শুরু হতেই পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হতেই দরপতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র সাতটি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৪টির। ৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

আজ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৮২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ সূচকটি ১৯৬ পয়েন্ট কমেছিল। প্রায় দুই বছর আগে দেশের পুঁজিবাজারে এতো বড় দরপতনের ঘটনা আর ঘটেনি। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অন্য দুই সূচকের। এর মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

পুঁজিবাজারে ভয়াবহ এ দরপতনের বিষয়ে ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি উৎকণ্ঠা কাজ করছে। তবে আমরা মনে করি এটা নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কোনো কারণ নেই। যুদ্ধের একটি দীর্ঘমেয়াদি ইম্প্যাক্ট আছে যেটা আমাদের পুঁজিবাজারে এখনই এসে পড়বে আমরা তেমনটিও মনে করিনা। তবে গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক পতনে ফলে আমরা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি, যাতে তারা বিনিয়োগকারীদের বুঝান, তারা যেন উদ্বিগ্ন না হন।

এদিকে সূচকের টানা পতনের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে পুঁজিবাজারে। সোমবার দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা সাত কার্যদিবস ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার নিচে রয়েছে। 

ডিএসই’র মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৫৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৪টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: