• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দেশে এবছরই চালু হচ্ছে ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
দেশে এবছরই চালু হচ্ছে ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবস্থা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংক ও বীমা কোম্পানিগুলো গত কয়েক দশকে ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে তাদের পলিসি বিক্রিতে সাফল্য পেয়েছে। এই ধারা অনুসরণ করে চলতি বছরের শেষ দিক থেকেই বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বীমাপণ্য বিক্রির ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবস্থা। এ সেবা চালু হলে ব্যাংক ও বীমা উভয় খাতই লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে সেবাটির জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ব্যবস্থায় একটি বীমা কোম্পানি তার অংশীদার ব্যাংকের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল ব্যবহার করে তাদের গ্রাহকের কাছে তার পণ্য বিক্রি করতে পারবে। ফলে ব্যাংকের আয়ও বাড়বে।

বিশ্বব্যাপী ব্যাংকাস্যুরেন্সের জনপ্রিয়তার ক্রমেই বাড়ছে। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এই ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে।  

ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসা পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত গাইডলাইন তৈরিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), বাণিজ্যিক ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কারিগরি কমিটি কাজ করছে। 

এ বিষয়ে কারিগরি কমিটির সদস্য ও পিডব্লিউসি বাংলাদেশের সহযোগী পরিচালক সাদেক-উজ-জামান বলেন, ‘মানুষের আস্থা ও আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে একটি সর্বোত্তম আইন প্রণয়নের কাজ হচ্ছে। মূল গাইডলাইনটি বাংলাদেশ ব্যাংক করেছে। এর ওপর আইডিআরএসহ সব পক্ষের মতামতও নেয়া হয়েছে। এখন আইনি বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দুই-তিন মাসের মধ্যে খসড়া প্রকাশ করা হবে।’

ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হলে সব ব্যাংক তাদের দেশব্যাপী প্রায় ১১ হাজার শাখার মাধ্যমে বীমার পলিসি বিক্রি করতে পারবে। ব্যাংকগুলো তাদের অংশীদার বীমা কোম্পানির জন্য আলাদা একটি ডেস্ক স্থাপন করে পলিসি জমা নেবে। এতে বীমার গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিং বা সরাসরি ব্যাংকের শাখায় এসে টাকা জমা দিতে ও তথ্য জানতে পারবেন। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স সুবিধা দেয়ার গাইডলাইনটি প্রায় চূড়ান্ত। কারিগরি কমিটি গাইডলাইন প্রণয়নে কাজ করছে। ব্যাংকগুলোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখছে, আর ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়টি দেখছে আইডিআরএ। নীতিমালা চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’ চলতি বছরের মধ্যে এ সেবার কার্যক্রম চালু হবে। 

ব্যাংকাস্যুরেন্স পদ্ধতিতে একটি কার্যকর বিকল্প চ্যানেল হিসেবে কাজ করে ব্যাংক। এতে প্রিমিয়াম সংগ্রহে বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ কমবে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই ব্যাংক তার গ্রাহকদের বিভিন্ন বীমা-সুবিধা দিতে পারে। তাছাড়া ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বেশি থাকায় গ্রাহকদেরও বীমা পলিসি কেনার প্রতি বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি হবে।

ব্যাংক ও বীমা খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবস্থায় ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে সম্পাদিত অংশীদারি চুক্তির আওতায় ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের মধ্যে বীমা কোম্পানির পক্ষে বীমাপণ্য বিক্রি করবে। এতে ব্যাংকের কমিশন আয় বাড়বে। পাশাপাশি বীমা কোম্পানির ব্যবসাও প্রসারিত হবে। ফলে উভয় প্রতিষ্ঠানই লাভবান হবে। 

উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্স ও স্পেনে প্রথম ব্যাংকাস্যুরেন্স ধারণার উদ্ভব হয়। 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: