• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আমানত সংকট: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৯:২৩, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
আমানত সংকট: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনা

আমানত সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীর গাড়ি পরিবর্তনে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার পর নূন্যতম ৮ বছর পর্যন্ত তা ব্যবহার করতে হবে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিষ্ঠান ও আমানতকারীদের স্বার্থে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যানবাহন ব্যবহারে উচ্চ পরিচালনা ব্যয় কমানোর জন্য সকল যানবাহন ন্যূনতম পাঁচ বছর ব্যবহারের পর প্রতিস্থাপনযোগ্য হবে। এখন থেকে গাড়ির আয়ুষ্কাল সংক্রান্ত সরকারি আদেশের সঙ্গে সংগতি রেখে গাড়িসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত গাড়ি ন্যূনতম ৮ বছর ব্যবহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরিচালন বা উন্নয়ন ব্যয় কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের সাথে মিল রেখে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দাপ্তরিক ব্যয়ে যে কোনো ধরনের যানবাহন ক্রয় (নতুন/প্রতিস্থাপন) বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ে একাধিক গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পাবে না। অপরদিকে যে সকল কর্মকর্তা গাড়ি ঋণ এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ অর্থ গ্রহণ করেন সে সকল কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না।

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতের নানা সংকটে আমানত হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপকহারে আমানত কমছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে আমানত কমেছে এক হাজার ২০৪ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এনবিএফআইয়ের আমানত দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় আমানত কমেছে এক হাজার ২০৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিতরণ করা ঋণ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৪১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি ১০ লাখ। যা মোট ঋণের ২৪.৬১ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: