এজিএম ও ইজিএমে বিএসইসির হাইব্রিড সিস্টেম মানছে না কোম্পানিগুলো 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) সশরীরে করতে বিএসইসি’র দেওয়া হাইব্রিড সিস্টেম চালু নির্দেশনা মানছে না কোম্পানিগুলো। এজিএম ও ইজিএমে সশরীরে উপস্থিতির সুযোগ চেয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়য়াত-উল-ইসলামের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এর আগে করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ৮ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির এজিএম ও ইজিএমসহ যেকোনো ধরনের সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশনার আলোকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো তাদের এজিএম ও ইজিএম অনালাইনে আয়োজন করছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে কোম্পানিগুলোর এজিএম ও ইজিএম সশরীরে আয়োজন করার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে বিএসইসি ২০২০ সালের ৮ জুলাই এজিম ও ইজিএম সভাসহ যেকোনো ধরনের বৈঠক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছিল। বর্তমানে করোনা মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। ফলে, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল অফিস-আদালত স্বাভাবিক নিয়মে চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, এমনকি রাজনৈতিক দলের মিছিল মিটিংও আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলছে।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী অনেকেরই মনসংযোগ থাকে না। আবার অনেকে একসঙ্গে একাধিক মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে। অনেকে বাসায় বসে জুম অন করে পরিবারের অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। এসব মিটিংয়ের ব্যয় ঠিকই আগের মতো করা হয়। কিন্তু, এই মিটিংয়ে কোম্পানির বিন্দুমাত্র লাভ হয় না। তাই, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভাসহ সব ধরনের সভা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের পরিবর্তে সশরীরে আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হলো।

২০২১ সালে ২৯ মার্চ ১৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে অনলাইনে সভা-সেমিনার করার নির্দেশনা জারি করে। এরপর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার, সে আইন পরিবর্তন করে হাইব্রিড সিস্টেম চালু করে কমিশন।