• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪

খেলাপি কৃষি ঋণ আদায় ইতিবাচক

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২৩:১৪, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
খেলাপি কৃষি ঋণ আদায় ইতিবাচক

দেশে যখন খেলাপী ঋণের উল্লম্ফন। তখন খেলাপী কৃষি ঋণ আদায়ে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে। করোনা মহামারির পর চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছিল আর্থিকখাতে। মানুষের আয় কমেছে, খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে সঞ্চয়। এতে আর্থিক খাতে তারল্য কমছে। এতো কিছুপর কৃষকরা ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ফেরত দিয়েছেন। খেলাপি ঋণও এ সময়ে ফেরত বেড়েছে। যদিও সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী দেশের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছেন।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে কৃষকরা ঋণের টাকা ফেরত দিয়েছেন ১৬ হাজার ৪২৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যা মোট ঋণ স্থিতির ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ। এরমধ্যে শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকে ফেরত দিয়েছে ৭ হাজার ২৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ৪৬ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ফেরত দিয়েছেন ৯ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। ডিসেম্বর প্রান্তিকে কৃষি ঋণের স্থিতি রয়েছে ৫০ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।

গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) কৃষকরা ফেরত দিয়েছিলেন মোট কৃষি ঋণ স্থিতির ২৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। টাকার অংকে ১৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। সে সময় মোট কৃষি ঋণ স্থিতি ছিল ৪৭ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষকের ফেরত দেওয়ার হার ছিল ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে একই সময়ে কৃষকের ফেরত দেওয়ার হার ছিল ৩১ শতাংশ।  

তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা মোট কৃষি ঋণ স্থিতির ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের বছরে একই সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৩ হাজার ৭২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। পরিমাণ এবং মোট ঋণের অংশ-দুটোই কমেছে খেলাপি ঋণ।

করোনা মহামারি আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের একই সময়ে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরের একই সময়ে ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ। করোনা মহামারির সময়ে ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হবে না-এ ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। এ কারণে  খেলাপি ঋণে কিছু প্রভাব পড়েছে। কিন্তু করোনা পরবর্তী এ সুবিধা উঠে গেলেও খেলাপি কৃষক বাড়েনি।

কৃষি ঋণের মান নিয়ে কথা আছে। প্রশ্ন আছে এনজিওর মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণের ফলে উচ্চ সুদ হার নিয়ে। কিন্তু তারপরও পল্লী অঞ্চল বা কৃষি বিষয়ক ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থায়ন হচ্ছে। তা সময় মতো ফিরে আসার হারও ভাল। এটা কৃষক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্যও ভাল।

কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে ক্ষতি যেমন হয়েছে, কৃষি ক্ষেত্রে কিছু লাভও হয়েছে। চাষিরা সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের দাম পাচ্ছেন। যে কারণে কৃষকরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন। যদিও উৎপাদনের বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: