• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কর্মযজ্ঞ, ২০২৬ সালে চালুর আশা

শাহেদা পিয়া, মাতারবাড়ি থেকে ফিরে

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৫:৪৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কর্মযজ্ঞ, ২০২৬ সালে চালুর আশা

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে বাস্তবে রুপ পেতে যাচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে  নকশা প্রণয়ন। আগামী জুন থেকেই শুরু হবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাগরপথে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি। এখানে এক হাজার ৩১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হবে এই বন্দর। দূর থেকেই চোখে পড়বে সাগরের নীল জলরাশি। আর এর বুক চিরে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। বিশেষ ব্যবস্থায় সাগরে বাঁধ বা ব্রেকওয়াটার তৈরির পাশাপাশি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম খননযন্ত্র ‘ক্যাসিওপিয়া–ফাইভ’ দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। লবণের মাঠ খনন করে বানানো হয়েছে সাগর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের পথ। সেইসাথে কৃত্রিম এই চ্যানেলে যাতে ঢেউ না আসে, সে জন্য তীর থেকে সাগরের দুই কিলোমিটার পর্যন্ত দেয়া হয়েছে বাঁধ।

এক হাজার ৩১ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত হবে এই বন্দর
 ২০২৬ সালে এই বন্দর চালু হলে শুধু দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যেই সুবিধা বাড়াবেনা বরং এটি পরিণত হবে এ অঞ্চলে সমুদ্রপথের বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে। গভীর সমুদ্র বন্দরটিতে জেটি থাকবে ২টি, যেখানে একসাথে ভিড়তে পারবে ২টি জাহাজ। জাইকা, বাংলাদেশ সরকার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে মোট ১৭ হাজার ৭শ ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে এই প্রকল্প। এর মাঝেই গেল দুই বছরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত দুটি জেটিতে ভিড়েছে ১১১টি জাহাজ। আর তা থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে অন্তত ১০ কোটি টাকা।

কাজের অগ্রগতিতে খুশি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহিদ হাসান। সরকারি ও জাইকার অর্থায়নে নির্মিত এ বন্দরটি ২০২৬ সালেই চালুর আশা করছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর উত্তম মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে পারবে ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজ

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে পারবে ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজ। আর একে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ায় ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে নিজেদের ব্রান্ডিং এর সুযোগ সৃষ্টি করতে চায় বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান ।

মন্তব্য করুন: