• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাংক ঋণে সুদের সর্বোচ্চ সীমা উঠে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২১, ১৯ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২২:৩৮, ১৯ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ব্যাংক ঋণে সুদের সর্বোচ্চ সীমা উঠে যাচ্ছে

বাংলাদেশ ব্যাংক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সুদের হার এক অঙ্কে বেঁধে দেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ তুলে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুদ হারের সীমা উঠিয়ে দিয়ে বাজারে সুদের চাহিদা অনুযায়ী একটি বেঞ্চমার্ক ভিত্তি বা রেফারেন্স রেট বাস্তবায়নের পথে হাটতে যাচ্ছে কেন্দ্রী ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সুদে হার ১৩ শতাংশ হতে পারে। যা আগামী জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ঘোষণা হতে যাওয়া মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হবে। 

রবিবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। 
 
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে ঋণের সুদের হারের সীমা তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক বিশ্বে পরিচিত লাইবর রেট বা বেঞ্চমার্কের আদলে ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত সুদ যোগ করে মোট সুদহার নির্ধারণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ভিত্তি ঠিক করা নিয়ে কাজ চলছে। যদিও চুড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সুদের ভিত্তি হিসাবে ৮ শতাংশ এবং তার সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ পর্যন্ত যোগ হতে পারে। তবে ব্যাংকের সুদের হার ৯ শতাংশ থাকছে না তা নিশ্চিত।

আগামী ২০২৩–২০২৪ অর্থ বছর থেকে সুদেরহার ক্ষেত্র বিশেষে সাড়ে ১১ শতাংশ থেকে সোয়া ১৩ শতাংশ হতে পারে। 

সুদের হার উঠে যাচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী জুনের তৃতীয় সপ্তাহে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। চলমান মুদ্রানীতির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ  ও আগামী মুদ্রানীতি কি কি থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আজকের (রোববার) বৈঠকে। আর নতুন মুদ্রানীতিতে ব্যাংক ঋণের সুদহার, ডলার একক রেট এবং মূল্যস্ফীতি বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এখানে ব্র্যান্ডিং ও রেফারেন্স রেটের কথা ভাবা হচ্ছে। এসব বিষয়ে অনেক যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। আগামী মুদ্রানীতিতে এসব বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।’ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দুই বছর মেয়াদী বন্ডে সুদের হার ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ,  দশ বছর মেয়াদী ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, পনের বছর মেয়াদী ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ২০ বছর মেয়াদী বন্ডের সুদের হার ৮ দশমমিক ৯৫ শতাংশ। আর পাঁচ ধরনের বন্ডের সুদহারের গড় ৮.৩০ শতাংশ। এই রেটের সঙ্গে যদি বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ শতাংশ করিডোর রেট নির্ধারণ করে দেয় তাহলে ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশে ঋণ বিতরণের সুযোগ পাবে ব্যাংকগুলো। 

জানা গেছে, ২০২০ সালে ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ধরনের ঋণের সুদহার এক অঙ্ক তথা সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় সরকার। 

সম্প্রতি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)’র আয়োজনে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিটে ব্যাংক ঋণের সুদহারে পরিবর্তন আসছে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সেখানে তিনি জানান যে, আমানতের সুদের হারের ফ্লোর ও সিলিং প্রত্যাহার করেছি। বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ করে করিডর প্রথা চালু করা হবে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: