• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১২ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

অস্তিত্বহীন প্রকল্পে আইসিবি’র ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ

প্রকাশিত: ১০:০৩, ৩০ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
অস্তিত্বহীন প্রকল্পে আইসিবি’র ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ

আইসিবি’র লোগো

অস্তিত্বহীন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে প্রায় তিন কোটি আর্থিক ক্ষতির মুখে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ইকুইটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ তহবিল (ইইএফ)। 

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে- আধুনিক হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ লিমিটেড, সোনাইছড়ি এগ্রো ফার্মস লিমিটেড ও ডিপ ওশান বায়োপ্লান্ট লিমিটেড। 

এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ করায় সরকার মালিকানা অংশ পাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আইসিবি পরিত্যক্ত, বাস্তবায়ন না হওয়া এবং অস্তিত্বহীন এসব প্রকল্পে বিনিয়োগের ফলে সরকার তার মালিকানা অংশ পায়নি। একইসঙ্গে বিতরণ করা ঋণ আদায় না হওয়ায় সরকারের প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতির মুখে রয়েছে।

আধুনিক হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজকে অর্থ বিতরণের বিষয়ে জানা যায়, আইসিবির ২০১৫-২০১৬ থেকে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের আর্থিক কার্যক্রম নিরীক্ষাকালে দেখা যায়, আধুনিক হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ নামের প্রকল্পটি পরিত্যক্ত থাকায় এবং মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী ইইএফের অর্থ আদায় না হওয়ায় সরকারের ৭৬ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

নিরীক্ষায় দেখা যায়, ২০১০ সালে ৫ ডিসেম্বর আইসিবির ২৫তম সভার অনুমোদনে এক কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার প্রকল্পের ৪৯ শতাংশের ৯৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা ইইএফ সহায়তা দেয়। পরবর্তীকালে ২০১১ সালের ৩ আগস্ট এবং ২০১২ সালের ৮ জুলাই দুই কিস্তিতে (২৯ লাখ ও ৪৭ লাখ) ৭৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইইএফ নির্দেশনা অনুসারে তহবিলের প্রথম কিস্তি দেয়ার চার বছরের মধ্যে সরকারের নামে ইস্যুকৃত শেয়ারের ২০ শতাংশ বাই-ব্যাক করতে হবে এবং অবশিষ্ট মোট শেয়ারের ২০ শতাংশ হারে প্রথম কিস্তি দেয়ার পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম বছরের মধ্যে বাই-ব্যাক করার বিষয়ে বলা হয়েছে। 

এছাড়া কোনো কোম্পানি ইচ্ছা করলে সরকারি সব শেয়ার চার বছরের আগে এবং এর চেয়ে কম কিস্তিতেও বাই-ব্যাক করতে পারবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিকে প্রতি তিন মাসে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং বছর শেষে পরবর্তী চার মাসের মধ্যে নিরীক্ষিত ও লাভ-ক্ষতি হিসাব সরাসরি আইসিবিতে দাখিল করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

প্রকল্পের ২০০ শতাংশ জমির ক্রয়মূল্য দুই লাখ আট হাজার টাকা হলেও পরিদর্শন প্রতিবেদনে আট লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। ৮০০ শতাংশ জমির মূল্য ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা হলেও দেখানো হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে প্রকল্প জমির অতিমূল্যায়ন দেখানো হয়েছে ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

আধুনিক পদ্ধতিতে কার্পজাতীয় মাছ চাষের জন্য আইসিবির ইইএফ সহায়তার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৬ জুন আকস্মিক পরিদর্শন করা হয়। 

পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পে কোনো কাঁটাতারের বেড়া ও সাইনবোর্ড নেই, কোনো কর্মচারীও নেই। প্রকল্পে ৩৫টি পুকুর খনন করা হয়েছিল এবং একটি সেমিপাকা অফিস ভবনসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রকল্পটিতে মাত্র একটি পুকুর রয়েছে এবং মাছ চাষ করা হচ্ছে না। অবশিষ্ট চারটি পুকুর নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রকল্পের জায়গায় নির্মিত অবকাঠামোটিও নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি পরিত্যক্ত।

নিরীক্ষায় এ বিষয়ে আইসিবি বলেছে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর উদ্যোক্তা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে দাখিলকৃত রিট গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ মোতাবেক মতামতের জন্য আইসিবির প্যানেলভুক্ত আইনজীবীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তিনি রিট পিটিশনের কপি উত্তোলন করলেও সে বিষয়ে মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকেন। বর্তমানে আইনজীবীর মতামত নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান।

নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রকল্প স্থান নির্বাচন সঠিক হয়নি। বিনিয়োগটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নিয়োগকৃত কনসালটেন্ট ফার্মের ভূমিকা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কনসালটেন্ট ফার্ম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি।

সোনাইছড়ি এগ্রো ফার্মসের বিষয়ে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবং ইইএফ সহায়তার অর্থ মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী আদায় না হওয়ায় সরকারের ৯১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষায় দেখা যায়, আইসিবি বোর্ডের ১০৯তম সভায় ২০১৩ সালের ১২ মে সোনাইছড়ি এগ্রোকে এক কোটি ১৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা ইইএফ সহায়তা মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালের ৬ মার্চ প্রথম কিস্তি এবং ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেয়া হয়। মোট টাকার পরিমাণ ছিল ৯১ লাখ। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য এতে সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি।

আইসিবি থেকে ২০১৭ সালের ১২ ও ১৩ মে প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়িত হয়নি এবং ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। 

পরিদর্শন প্রতিবেদন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মতামত অনুযায়ী, প্রকল্পে বর্তমানে বুনো হাতির উপদ্রব এবং সংঘবদ্ধ চক্রের আক্রমণের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম চালানোর পরিস্থিতি নেই। ধারণা করা হয়, ইইএফ সহায়তার টাকা প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়নি, বরং অন্য খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লিখিত টাকা আদায়ের জন্য কোনো প্রকার কার্যকর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার প্রমাণ আইসিবি দেয়নি বলা হয়েছে। অর্থ ফেরতের জন্য ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি এবং ৩ এপ্রিল চিঠি দেয়ার পর পরবর্তীকালে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।

আইসিবি বলেছে, আইসিবি থেকে একটি পরিদর্শন দল প্রকল্পটি পরিদর্শন করে। পরিদর্শন দলের সুপারিশ অনুযায়ী, প্রকল্পে বাকি অর্থ দেয়া হয়নি এবং প্রকল্পে এরই মধ্যে দেয়া অর্থের খাতওয়ারি বিনিয়োগের প্রমাণাদি আইসিবিতে জমা করার জন্য টেলিফোনে তাগাদা দেয়া হয়। উদ্যোক্তারা যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় এবং প্রকল্পটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ইইএফ সহায়তা বাবদ দেয়া অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে তাগাদা দিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জুন উদ্যোক্তাদের বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। অর্থ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রক্রিয়াধীন।

নিরীক্ষা বলছে প্রকল্পটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় বোঝা যায়, মঞ্জুরিপত্রের শর্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি আইন অনুসারে পদক্ষেপও নেয়া হয়নি। ফলে অর্থ আদায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

ডিপ ওশান বায়োপ্ল্যান্টের বিষয়ে জানা যায়, আইসিবি অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পে ইইএফ ফান্ডের অর্থ মঞ্জুর ও বিতরণ করায় সরকারের এক কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষায় দেখা যায়, আইসিবি বোর্ডের ৫১তম সভায় ডিপ ওশান বায়োপ্ল্যান্ট ময়মনসিংহের অনুকূলে ইইএফ সহায়তা অনুমোদন করে। প্রকল্পে নির্ধারিত মোট ব্যয় দুই কোটি ১৬ লাখ টাকার মধ্যে ৪৯ শতাংশের এক কোটি পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ইইএফ মঞ্জুর করা হয়। 
পরবর্তীকালে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে দুই কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার টাকায় পুনর্নির্ধারণ করে ইইএফ সহায়তার পরিমাণ এক কোটি ২৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা অনুমোদন করা হয় এবং ভোলায় স্থানান্তরের অনুমোদন করা হয়।

পরে অনুমোদিত অর্থ তিন কিস্তিতে বিতরণ করা হয়। মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস্ লিমিটেডের চিঠি হতে দেখা যায়, প্রকল্পের তৃতীয় কিস্তির ২৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা ছাড়ের জন্য সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটিকে সেই টাকার চেক দেয়া হয়েছে। ইইএফ রিকভারি ডিপার্টমেন্ট-১-এর পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই প্রকল্পটির সরেজমিন পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, ডিপ ওশানের নামে কোনো মাছের প্রকল্প সেখানে নেই। এমনকি প্রকল্পের উদ্যোক্তারা ভোলার স্থানীয় বাসিন্দাও নন। উদ্যোক্তারা ভূমির যেসব কাগজপত্র ও স্থানীয় মৌজা ম্যাপ আইসিবি ইইএফ ইউনিটে জমা দিয়েছেন, বাস্তবে তার কিছুই পাওয়া যায়নি।

শর্ত অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে তেলাপিয়া, পাঙাশ ও কার্পজাতীয় মাছ চাষের জন্য প্রকল্পটিতে ইইএফ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পটি অস্তিত্বহীন। ডিপ ওশানের প্রকল্পে তৃতীয় কিস্তির টাকা নেয়ার সময় ভোলা এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের প্রকল্প দেখিয়ে টাকা নেয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ভোলা এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল হক রিয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাওয়া যায়। প্রকল্প পরিদর্শনের সময় ভোলা এগ্রোর অফিসের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে সেখানে ডিপ ওশানের সাইন বোর্ড স্থাপন করে পরিদর্শন দলকে দেখানো হয়েছে।

প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেয়ার সময় সঠিকভাবে মৌজা ম্যাপসহ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হলে উদ্যোক্তা টাকা নিতে পারতেন না। এছাড়া পরিদর্শন রিপোর্টে প্রকল্পটির অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দেহের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের ও আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে সময় নষ্ট করার মাধ্যমে ইইএফ কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আনুকূল্য দেখিয়েছেন।

এছাড়া পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হলেও কর্তৃপক্ষের তা পরিপালনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আইসিবি বলছে, মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সুপারিশ ছাড়া অর্থ দেয়ার কথা বলা হলেও প্রকল্পের তৃতীয় কিস্তির অর্থ না দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইসিবির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত পরিদর্শন দল প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করে। পরিদর্শন দলের সুপারিশ, আইসিবি কেন্দ্রীয় অডিট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক নিরীক্ষা ছাড়পত্র ও আইসিবি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের অর্থ বাদ দেয়া হয়ে থাকে। প্রতিটি কিস্তির অর্থ বিতরণ করার আগে পরিদর্শন দল কর্তৃক প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। ডিপ ওশ্যান বায়োপ্লান্ট ও ভোলা এগ্রো কমপ্লেক্স প্রকল্প দুটি শনাক্তকরণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান। কমিটির সুপারিশের পরিপ্র্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে আনুকূল্য দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2