• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল আরও কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশিত: ২১:১৪, ১৪ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল আরও কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার আরও কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার (১৪ মে) ইডিএফ তহবিল থেকে আরও ২৩ কোটি ডলার কমানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। ফলে বর্তমানে ইডিএফের স্থিতি কমে ৪৭৭ কোটি (৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে। 

ইডিএফের ডলারের হিসাবকে বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ ব্যাপারে আপত্তি জানায়। আইএমএফের দেওয়া ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের শর্তের মধ্যেও রয়েছে বিষয়টি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত এর আকার কমাচ্ছে। তবে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে স্থানীয় মুদ্রায় (টাকা) ঋণসহায়তা দিতে রপ্তানি সহায়ক প্রাক-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএফ) গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে উৎসাহী করতে ইডিএফ ফান্ড কমানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ইডিএফের আকার কমালেও রপ্তানি খাতকে চাঙ্গা রাখতে স্থানীয় মুদ্রায় একটি প্রাক-অর্থায়ন তহবিল (ইএফপিএফ) গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই তহবিল থেকে যাতে ঋণ নেয় রপ্তানিকারকরা, তাই ইডিএফ কমানো হচ্ছে। যখন ডালারের ফান্ড দরকার হবে, তখন ইডিএফের আকার বাড়ানো হবে।

আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত ৭ বিলিয়ন ডলার ইডিএফের আকার ধাপে ধাপে কমিয়ে রিজার্ভ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কয়েকটি তহবিল ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার ঋণ এবং দু-তিনটি প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে দেওয়া ঋণসহ মোট ৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে আলাদা করে নিট রিজার্ভের হিসাব করার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলেছিল, কোনো দেশের আপৎকালীন সংকট মেটানোর জন্য রিজার্ভ রাখা হয়। কিন্তু এই ৮ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ চাইলেই যখন-তখন খরচ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার সেই শর্ত মেনে নিয়েছে। জুন থেকে আইএমএফের শর্ত মেনে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এসব শর্ত মানতে গিয়েই ইডিএফের আকার কমানো হচ্ছে।

গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ইডিএফের ৪৭৭ কোটি ডলার এবং শ্রীলঙ্কার ২০ কোটি ডলার ঋণসহ কয়েকটি প্রকল্পের এক বিলিয়নসহ মোট ছয় বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ইডিএফ কমানোর ফলে রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা ডলারের পরিমাণ কমে ছয় বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

আইএমএফ গত মার্চে সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, যা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগামী জুনে এই লক্ষ্য বাড়িয়ে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত রয়েছে সংস্থাটির। আগামী সেপ্টেম্বরে নিট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে আইএমএফ।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে ইডিএফের আকার ৭ বিলিয়ন (৭০০ কোটি) ডলার ছিল। আইএমএফের ঋণের পুরোটা পেতে সংস্থাটির কথামতো জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ইডিএফের আকার কমিয়ে ছয় বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে তা থেকে আরও ৫০ কোটি ডলার কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়। এরপর দুই দফায় আরও ৫০ কোটি ডলার কমিয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। সবশেষ আজ আরও ২৩ কোটি ডলার কমিয়ে ৪৭৭ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2