• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

অবন্তিকার হয়রানির অভিযোগপত্র পাননি জবি উপাচার্য

প্রকাশিত: ১০:০৩, ১৬ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
অবন্তিকার হয়রানির অভিযোগপত্র পাননি জবি উপাচার্য

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ সময় তাকে অবন্তিকার অভিযোগপত্র তাকে দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। পরে উপচার্যের আশ্বাসে ক্যাম্পাস ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য বলেন, ‘ফাইরুজ যে রিপোর্টের কথা বলেছে, সেই রিপোর্ট আমাকে দেওয়া হয়নি। সে বলেছে তাকে হুমিলিয়েটেড করা হয়েছে। সেই কমপ্লেইনের রেকর্ড আমাকে দেওয়া হয়নি। সেই সহকারী প্রক্টরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। তদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজে যুক্ত হতে পারবেন না।’

ড. সাদেকা হালিম আরও বলেন, ‘আমি মাত্র ৩ মাস এখানে এসেছি। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার চেষ্টা করছি। প্রক্টরিয়াল বডির প্রধানসহ পাঁচ জন সদস্য নতুন। যে কয়টি যৌন হয়রানি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শেষ হয়েছে আগামী সিন্ডিকেটে প্রত্যেকটির সুরাহা করা হবে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফাইরুজ তার সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত আম্মান তাকে থ্রেট করতো, সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

ফাইরুজের অভিযোগপত্র উপাচার্যকে না দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি খুঁজে পাওয়া গেছে। সেটি অনেক পুরনো ফাইল। এ কারণে খুঁজে পেতে সময় লেগেছে। বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের ঘটনা নিয়ে অবগত ছিলাম না। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সে যদি আসতো তাহলে ভিসি ম্যামের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিতাম। বিষয়টি নিয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর উপাচার্য সাদেকা হালিম নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নেন। উপাচার্য কার্যালয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন। পরে তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকাল ৩টায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও সহযোগী অধ্যাপক ড. দ্বীন ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দায়িত্ব থেকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহকে আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2