• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়েছে দ্বিগুণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছর চীন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন ৯ জন শিক্ষার্থী। এই বছর পড়তে এসেছেন ১৮ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৬ জন। এসব শিক্ষার্থী আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

শিক্ষা-গবেষণা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয় ও বেইজিং ফরেন বিশ্ববিদ্যালয়। এসব সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আওতায় এবং চীন সরকারের বৃত্তি নিয়ে এই বছর চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই সংখ্যা ছিলো ৭ জন। সম্প্রতি চিকিৎসা গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে এগিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে চীনের ইউনান পিকিং ক্যান্সার হাসপাতাল এবং কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা দূর করার জন্য স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে ১০টি কক্ষের সমন্বয়ে একটি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। চীন থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করছেন। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে চীন সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নামে একটি আবাসিক হল নির্মাণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়া, আগামী আগস্ট মাসে চীনের শিক্ষার্থীরা দুই সেমিস্টারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে পড়ারও আগ্রহ দেখিয়েছেন তারা। এ লক্ষ্যে চীনের আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে চায়। সেজন্য উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। খুব শিগগিরই বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-গবেষণা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের ক্ষেত্রটি আরও সম্প্রসারিত হবে।

এদিকে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের একটি শক্তিশালী দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শুধু ভাষাগত দক্ষতাই অর্জন করছে না, বরং চীনের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যোগাযোগ বেড়েছে। গত নভেম্বরে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সাত দিনের সফরে চীনে যান। সফরকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে মতবিনিময় করেন। এছাড়া উপাচার্য চীনের সেন্টার ফর ল্যাংগুয়েজ এডুকেশন এন্ড কো-অপারেশন, চাইনিজ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ টিচিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম চালুর সম্ভাব্যতা নিয়ে মতবিনিময় করেন। সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের একাডেমিক বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: