কার্জন হলের সমস্যা নিরসনে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার স্মারকলিপি প্রদান

কার্জন হলের সমস্যা নিরসনে স্মারকলিপি প্রদান করছে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত কার্জন হলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধান ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার দাবিতে অনুষদের ডীন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রদানকৃত স্মারকলিপিতে জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন সমস্যা ও শিক্ষাগত প্রয়োজনীয়তার আলোকে মোট ৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল:
কার্জন হলে মেয়েদের নামাজরুম সংস্কার, হলে ক্যান্টিন সংখ্যা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য পরিবেশন ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত খাবার নিশ্চিতকরণ, লাইসেন্সধারী স্থায়ী ফার্মেসি চালু, মেয়েদের কমনরুম ও নামাজরুমে ওযুখানার ব্যবস্থা, মা শিক্ষার্থীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন ও গবেষণার জন্য আধুনিক ল্যাব স্থাপন ও গবেষণা তহবিল সহজলভ্য করা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক সময়ের ইতিবাচক পদক্ষেপসমূহ আমাদের আশাবাদী করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও বাস্তবসম্মত চাহিদাগুলোর প্রতি প্রশাসন দ্রুত নজর দেবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদান প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে কার্জন হলের এই সমস্যাগুলো দেখছি, দীর্ঘ পাঁচ বছরেও একটি সমস্যা সমাধান হতে দেখিনি, অথচ প্রত্যেক শিক্ষার্থী এই সমস্যাগুলোর কারণে ভুক্তভোগী। আমাদের মনে হয়েছে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলা দরকার, সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন, সেজন্যই আমরা ডীন বরাবর সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি আফসানা আক্তার বলেন, মাননীয় ডীন আন্তরিকতার সাথে সমস্যাগুলো শুনেছেন এবং যথাসাধ্য সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে এবং শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে জ্ঞানচর্চা করতে পারবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ঢাবি শাখা বিশ্বাস করে, একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: