• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজে বাঁশের খুঁটি, ছাদ ধসে ১১ শ্রমিক আহত

রোহান চিশতী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ৩১ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ২১:৩৩, ৩১ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণকাজে বাঁশের খুঁটি, ছাদ ধসে ১১ শ্রমিক আহত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ১০ তলা ছাত্র হল ভবনের ছাদ ধসে ১১ নির্মাণশ্রমিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে হলটির দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সি এস আই কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে পূর্ব-দক্ষিণ কোণে ঢালাই শুরু হলে সেন্টারিং কাঠামো কেঁপে ওঠে এবং হঠাৎ করেই ছাদটি ধসে পড়ে। এতে কর্মরত শ্রমিকরা পড়ে গিয়ে কোমর, হাঁটু ও পিঠে আঘাত পান। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছাদ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে চিকন ও নিম্নমানের রড। পাশাপাশি, লোহার পাইপের বদলে কিছু জায়গায় খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ ও পাটের দড়ি। বৃষ্টির মধ্যেই ঢালাইয়ের কাজ চলছিল, যা কাঠামোকে আরও দুর্বল করে তোলে।

এক শ্রমিক জানান, দুপুরে ঢালাই শুরু হয়। খাবারের পর আবার কাজ শুরু করলে বিকালে হঠাৎ ছাদ ভেঙে পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রড ছিল খুবই চিকন, অনেক জায়গায় জোড়া দেওয়া। খুঁটির ক্ষেত্রে যেখানে লোহার পাইপ থাকার কথা, সেখানে বাঁশ ও দড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে নির্মিত ভবনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়?

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহাত হোসেন দিদার বলেন, বৃষ্টির কারণে খুঁটি দুর্বল হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঠিকাদারকে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দপ্তরের কোনো গাফিলতি নেই, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত একটি দুর্ঘটনা।

তবে, নির্মাণকাজে তদারকির ঘাটতি এবং ব্যবহৃত উপকরণের মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রত্যেক ভবনের জন্য একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও সঠিক তদারকি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: