চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া ৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত দফা দাবিতে চলমান আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আরও পাঁচজন শিক্ষার্থী অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচির ৪৭ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। এর আগে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ের সামনে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী’ ব্যানারে নয়জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবি তুলেছেন। অনশনকারীদের দাবিগুলো হলো- স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহতদের তালিকা প্রকাশ ও উন্নত চিকিৎসা, নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসন ব্যবস্থা, আবাসনচ্যুতদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ, চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা ও নিরপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ, দ্বন্দ্ব নিরসনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও তিন মাস পরপর বৈঠক করা, সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা। শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ। প্রশাসন দাবিগুলো বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ওমর সমুদ্র ও সুদর্শন চাকমা, সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ঈশা দে ও জশদ জাকির, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আহমেদ মুগ্ধ ও নাঈম শাহজান, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সুমাইয়া শিকদার এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের ধ্রুব বড়ুয়া। এদের মধ্যে সুমাইয়া সিকদার, ধ্রুব বড়ুয়া, জশদ জাকির ও সুদর্শন চাকমা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে দুই ঘণ্টার আলোচনার পরও তারা অনশন ভাঙাতে ব্যর্থ হন।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: