• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

গবি ক্যান্টিনে অভিযান

ইঁদুর-মাকড়সায় ভরা রান্নাঘর, বাসি ভাতে শিক্ষার্থীর খাবার

ইভা আক্তার, গবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইঁদুর-মাকড়সায় ভরা রান্নাঘর, বাসি ভাতে শিক্ষার্থীর খাবার

দেয়ালে ঝুলছে তেল-মাখা হাঁড়ি, টেবিলের নিচে ছুটছে ইঁদুর। কোণের ফ্রিজে পাশাপাশি ঠাসা কাঁচা মাংস, বাসি ভাত আর রান্না করা তরকারি, দুর্গন্ধে ভারী হয়ে আছে বাতাস। সেই রান্নাঘর থেকেই প্রতিদিন পরিবেশন হয় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই ক্যান্টিনে অভিযান চালায় গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু)। দীর্ঘদিনের শিক্ষার্থী অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দুই দফায় পরিচালিত এই অভিযানে প্রকাশ পায় ভয়াবহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের চিত্র, যা ‘সতর্কতা’র পরও অপরিবর্তিত ছিল বহুদিন ধরে।

অভিযানে দেখা যায়, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ফ্রিজে একই সঙ্গে রাখা হচ্ছে কাঁচা মাংস, রান্না করা তরকারি ও বাসি ভাত। ফ্রিজের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খাবারের বর্জ্য, ভাত রাখা বাঁশের ঝুড়িতে পাওয়া গেছে ইঁদুর-মাকড়সার জাল। স্যাঁতসেঁতে স্থানেই চলছে খাবার রান্নার কাজ।

শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে প্রতিবছর অভিযোগ করা হয়, কিছুদিন পরিষ্কার থাকে, তারপর আবার একই অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে এমন ক্যান্টিন মানায় না। প্রশাসন শুধু ‘সতর্কতা’ দেয়, কিন্তু স্থায়ী পরিবর্তন আনে না।’

অভিযানের সময় ক্যান্টিন মালিক আরশাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমি ক্যান্টিন ছেড়ে দিচ্ছি, প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। আপনারা ওদের সঙ্গে কথা বলেন।’

বাসি খাবার সংরক্ষণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাসি খাবার তো খাওয়াই যায়, আমরাও খাই।’

গকসুর সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন অন্তর বলেন, ‘ছাত্র সংসদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই আজ ক্যান্টিনে আসা হয়। একই ফ্রিজে কাঁচা ও রান্না করা খাবার রাখা হয়েছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। আমরা এসব খাবার ফেলে দিতে বলেছি। কয়েক ঘণ্টা পর আবার মনিটরিং করা হবে, যদি তারা ঠিক না করে, আজ থেকেই ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর একাধিকবার ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া বা দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি।’

ক্যান্টিন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমাদের কাছে কোনো নতুন চিঠি তারা জমা দেয়নি। গত ৪ সেপ্টেম্বর ক্যান্টিন মালিক ক্যান্টিন ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিল এবং আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলো।’

তিনি জানান, ‘প্রশাসন, ক্যান্টিন কমিটি ও ছাত্র সংসদের সদস্যবৃন্দ আগামী রবিবার মিটিং করে ক্যান্টিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2