বিএলআরআই নিয়োগে বৈষম্য: গবিতে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে পশু চিকিৎসা ও পশু পালন বিষয়ে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি (B.Sc. in Veterinary Science and Animal Husbandry) অন্তর্ভুক্ত না করায় নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ন্যায্য স্বীকৃতি ও সমান সুযোগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, তাতে লেখা ছিল “কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়”, “ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, সমান অধিকার চাই”, “অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য”, “সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান”। এ সময় তাঁরা স্লোগান দেন “নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা চলবে না”, “আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “প্রশাসনের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।”
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিএলআরআইয়ের নিয়োগবিধিতে পশু চিকিৎসা ও পশু পালন দুই বিষয়ের সমন্বিত ডিগ্রিধারীদের অন্তর্ভুক্ত না করা চরম বৈষম্যমূলক ও অযৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে স্মারকলিপি ও আবেদন জানানো সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপেক্ষা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু তারা বিষয়টি বারবার উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”
একই অনুষদের শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ।”
শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যমূলক নিয়োগবিধি দ্রুত সংশোধন না করা হলে তাঁরা সারাদেশে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন এবং বিষয়টির দ্রুত সমাধানে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: