• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: পদ আসার আগেই ‘চূড়ান্ত’ তিন প্রার্থী!

রোহান চিশতী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: পদ আসার আগেই ‘চূড়ান্ত’ তিন প্রার্থী!

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভবিষ্যতে কোন পদ শূন্য হলে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে—তা আগেই ঠিক করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯তম সিন্ডিকেট সভার নথিতে দেখা যায়, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট থেকে আগামী এক বছরের মধ্যে বিভাগের কোনো শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে গেলে বা পদ শূণ্য হলে বা নতুন পদ ছাড়করণ হলে তিনজন প্রার্থীর একটি ‘প্যানেল’ থেকে ক্রমানুসারে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ অনুমোদন করা হয়েছে।

ঘটনার শুরু ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক পদের বিপরীতে প্রভাষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর বাছাই বোর্ড আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সুপারিশ করলে সিন্ডিকেট তা অনুমোদন করে তার নিয়োগ সম্পন্ন হয়। কিন্তু আরও তিনজনকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যেকোন শূন্য পদ ও সৃষ্ট হওয়া নতুন পদে নিয়োগের জন্য প্যানেলভুক্ত করার সুপারিশ করে বাছাই বোর্ড। তারা হলেন মো. তারেকুল ইসলাম, সাজিয়া সুলতানা ও তাসনুভা রাগদা।

সিন্ডিকেটের বিবরণী বলছে, পদ শূন্য হলে নতুন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এই তিনজনের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে আগামী এক বছর। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের ভেতর ও বাইরে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।

ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বাছাই বোর্ড সদস্য ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, "বিষয়টি সিন্ডিকেটে অনুমোদনের বিষয়ে বিভাগকে কোনো চিঠি দেয়া হয়নি। বাছাই বোর্ডের সুপারিশ গোপনীয় বিষয়—এ সম্পর্কে আমি মন্তব্য করবো না।"

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হুদা মনে করেন, বিষয়টি আইনসঙ্গত নয়। তাঁর ভাষায়, "এভাবে আগাম পদের জন্য সুপারিশ করার কথা নয়। যদি এমন কিছু বাছাই বোর্ডের সুপারিশে লেখা হয়ে থাকে আর তা সিন্ডিকেটে অনুমোদন হয়ে থাকে, তাহলে সেটি ঠিক হয়নি।"

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান জানান, যে পদের জন্য বাছাই বোর্ড গঠিত হয়েছে সেই পদের জন্য প্যানেল সুপারিশ করা যায়। কিন্তু নতুন পদ বা ভিন্ন কোনো পদ শূন্য হলে নিয়ম অনুযায়ী নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েই নিয়োগ দিতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন, "বাংলাদেশ তো দূরের কথা, পৃথিবীর কোথাও শুনিনি—যে পদ আসেইনি সেই পদে আগে থেকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখা হয়। বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সিন্ডিকেট কিভাবে অনুমোদন দিল তা বুঝতে পারছি না।"

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: