সামনে এলো রাজ-পরীর ডিভোর্স লেটার

রাজ-পরীর ডিভোর্স লেটার
বিয়ের পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন শরিফুল রাজ ও পরীমণি দম্পতি। তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান। সন্তান জন্মের কিছুদিন পর পর্যন্ত তাদের মধ্যে প্রেমময় সম্পর্ক বিরাজ করলেও পরবর্তীতে শুরু হয় নানা বিপত্তি। ভালোবাসায় মোড়ানো সুখের চাদরে ধীরে ধীরে স্থান পায় অবিশ্বাস ও তিক্ততা। আর যার শেষ পরিনামের শব্দটি হলো ডিভোর্স।
২০ সেপ্টম্বর বিভিন্ন মাধ্যম থেকে রাজ-পরীর বিচ্ছেদের খবর আসতে থাকে। জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টম্বর তাদের ডিভোর্স হয়। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে পরীমণির মঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর একই মাধ্যমে রাজ জানান, ডিভোর্সের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
এর পরপরই সামনে আসে রাজ-পরী দম্পতির ডিভোর্স পেপার। সেখান থেকে জানা যায়, মনের অমিল, মানসিক অশান্তির জেরে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার একটি কাজী অফিস থেকে রাজকে ডিভোর্স পেপার পাঠান পরী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরিফুল রাজের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাংলাভিশনকে বলেন, ‘আমিও পত্র-পত্রিকার খবরের মাধ্যমে জেনেছি রাজ ও পরীমণির ডিভোর্সের ব্যাপারে। রাজের সঙ্গে আমাদের কয়েকদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই। তবে কিছুদিন আগে শুনেছিলাম তাদের মধ্যে ডিভোর্স হবে। কিন্তু কবে হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না।’
এদিকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরী মণি লিখেছেন, ‘ধরেন এই কাজটা আমি যদি করতাম। একজনকে ভাই পরিচয় দিয়ে তার বাসায় যাবতীয় জীনিসপত্র নিয়ে গিয়ে তার সাথে মাসের পর মাস পার করে দিতাম। কি বলতেন আমাকে তখন? আজ আমাকে রাজ এবং তার পাতানো বোন মিলে গায়ে হাত তুলেছে তার জবাব মিডিয়া দিতে পারবেন তো? রাজ কার সাথে থাকে? সুগার মমি নাকি কোনো অনৈতিক ব্যবসায়িক চক্র? কি চলে মহানগর প্রোজেক্টের তাদের ওই বাসা নামক অপকর্মের আস্থানায়? প্রশাসন, মিডিয়া যারা আছেন বের করেন এবার! অনেক কথা বলার বাকি! এতো চুপ থাকা যায় না।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে শরিফুল রাজ-পরীমণির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অতিথির তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের স্বজনরা।
বিভি/জোহা
মন্তব্য করুন: