• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

বেঁচে থাকলে ৮২ বছরে পা রাখতেন এটিএম শামসুজ্জামান

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
বেঁচে থাকলে ৮২ বছরে পা রাখতেন এটিএম শামসুজ্জামান

সাদাকালো যুগে এ টি এম শামসুজ্জামান আত্মপ্রকাশ করেছিলেন একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে। এরপর কাজ করেছেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে। তারপর অভিনয়ে এবং পরিণত হলেন একজন কিংবদন্তিতে। তিনি এটিএম শামসুজ্জামান। দেশের অভিনয় জগতের অন্যতম সেরা ও বরেণ্য অভিনেতা। খল, ইতিবাচক কিংবা কমেডি সব চরিত্রেই তিনি অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন। শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, টিভি পর্দায়ও সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।

আজ খ্যাতিমান এই অভিনেতার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের ভোলাকোটের বড় বাড়ি। তার পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান হলেও এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবে অধিক পরিচিত। 

এই অভিনেতার বেড়ে ওঠা তথা শৈশব-কৈশোর কেটেছে পুরান ঢাকার দেবেন্দ্রনাথ দাস লেন এলাকায়। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর এটিএম জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চতর শিক্ষালাভ করেন।

পরিবারের কোনো সূত্র ছিল না বিনোদন দুনিয়ায়। কিন্তু এটিএম শামসুজ্জামান নিজের ভবিষ্যৎ এই জগতেই ভেবেছেন। সেই লক্ষে ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি খান আতাউর রহমান, কাজী জহির, সুভাষ দত্তের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।

এটিএম শামসুজ্জামানের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল কৌতুক অভিনেতা হিসেবে। সে সময় তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমায় কৌতুকাভিনেতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রে তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জলছবি’, ‘যাদুর বাঁশি’, ‘রামের সুমতি’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’ ইত্যাদি। কৌতুক চরিত্রে তিনি সে সময় দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

এরপর নিজের অবস্থান আরও বেশি পোক্ত করেন খল-অভিনেতা হিসেবে। খল চরিত্রে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক হয় ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমনি’ সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমার পর তিনি বহু বছর খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর কুড়িয়েছেন প্রশংসা। নেতিবাচক ভূমিকায় এটিএম যেসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘অচেনা’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘হাজার বছর ধরে’ ও ‘চোরাবালি’।

গুণী এই অভিনেতা ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। আজ অভিনয়ের এই জাদুকরের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবার তিনি পা রাখতেন ৮২ বছরে।

বিভি/জোহা

মন্তব্য করুন: