মিথ্যা প্রমাণিত হলো শাকিব খানের বক্তব্য!

শাকিব খানের সিনেমার মহরত
শাকিব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা প্রযোজক রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক আখ্যা দিয়েছেন ঢাকায় সিনেমার এ নায়ক। 'তিনি প্রযোজক নামধারী বাটপার, ভুয়া প্রযোজক সেজে আমার নামে বিচার চেয়েছে' বলেও মন্তব্য করছেন বাংলা সিনেমার এ সুপারস্টার। কিন্তু শাকিবের এ কথা ভুল প্রমাণিত হলো।
এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, রহমত উল্লাহ ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির একজন সদস্য। এই সমিতিতে রহমত উল্লাহর নামের পাশে ‘বিদেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা উল্লেখ পাওয়া যায়।
এছাড়াও ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং ও মহরতে শাকিব খানের সঙ্গে দেখা গেছে এই প্রযোজক রহমত উল্লাহকে। তবে শাকিব খান সরাসরি রহমত উল্লাহর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হননি। তিনি চুক্তি করেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স মিডিয়ার সঙ্গে। আর এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয় রহমত উল্লাহর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেফ্যাক্ট।
সিনেফ্যাক্ট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে আছেন রহমত উল্লাহ, মাহির আবেদীন আর অ্যানি সাবরিন। তাই সব হিসেব মিলিয়ে বলা যায়, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স মিডিয়া আর সিনেফ্যাক্ট দুটি। তিনশত টাকার একটি স্ট্যাম্পে তাদের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারটেক্স মিডিয়ার পক্ষ থেকে জানে আলম ও সিনেফ্যাক্ট-এর অ্যানি সাবরিন।
রহমত উল্লাহকে নিয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘শাকিব যে কথা বলেছেন, এটা ঠিক না। তিনি বলেছেন এই প্রযোজক ভুয়া, কিন্তু রহমত উল্লাহ আমাদের সমিতির একজন সদস্য। ২০১৭ সাল থেকে তিনি নিয়মিত চাঁদা দিয়ে আসছেন।’
শাকিব খান ও রহমত উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে খসরু বলেন, ‘আর “অপারেশন অগ্নিপথ” ছবিটি নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এখন ২০২৩ সাল চলছে। দীর্ঘদিন ধরে একজন শিল্পীর কারণে পুরো ছবির কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না- এটা মানা যায় না। পুরো বিষয়টি যখন রহমত উল্লাহ আমাদের জানান, তখন আমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি রাখতে এটি বৈঠক করি। যেখানে শাকিব খানও ছিল।’
খসরু আরও বলেন, ‘সেদিনের মিটিংয়ে তাদের দুজনকেই বলেছি, যেহেতু শাকিব সরাসরি রহমত উল্লাহর সিনেফ্যাক্টের সঙ্গে চুক্তি করেনি, করেছে ভারটেক্স মিডিয়ার সঙ্গে। তাই পরবর্তী মিটিংয়ে জানে আলমকে নিয়ে আমরা বসব। তখনই বিষয়টি নিজেরা মিটিয়ে ফেলব। কিন্তু পুরো ঘটনাই পাল্টে গেল! এটা খুবই দুঃখজনক। আমি মনে করি এই দ্বন্দ্বের অবসান হোক। এসব কাঁদা ছোড়াছুড়ি আমাদের মিডিয়ার জন্য ভালো ও সম্মানের কিছু না।’
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ প্রযোজক রহমত উল্লাহ শাকিব খানের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে বিস্তর অভিযোগ জমা দেন প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে। যেখানে তিনি তুলে ধরেন- অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের মতো গুরুতর সব অভিযোগ।
বিভি/জোহা
মন্তব্য করুন: