• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঘরে নেই ইফতারি, রোজা রেখে পানির বোতল নিয়ে করুণ চাহনী ছোট্ট আন্ধারীর (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ১৩ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ০০:০৯, ১৪ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ

মাহে রমজানের প্রথম রোজা রেখেছে ৬ বছর বয়সী শিশু আন্ধারি। কিন্তু ঘরে নেই খাবার কিছুই। ফলে ইফতার কি দিয়ে করবে জানা নেই তার। তাই সম্বল হিসেবে একটি পানির বোতলকে আষ্টে-পৃষ্ঠে ধরে রেখেছে সে। আজান দিলেই সেই পানি দিয়ে সেরে নেবে ইফতার।

ওদিকে দিনভর রোজা রাখা মেয়েকে ইফতারে কি খাওয়াবেন তা ভাবতে গিয়ে একটু পর পর কেঁদে উঠছিলেন মা জুলেখা বেগম। জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুনিয়াতে তাদের নেই কোনো স্বজন, নেই উপার্জনের পথও। তাই খেয়ে না খেয়েই কাটে মা-মেয়ের জীবন।

স্বামীর মৃত্যুর পর কোনো আশ্রয় না থাকায় ঢাকায় চলে আসেন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা জুলেখা। রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কঘেষা ফুটপাথে কুড়িয়ে আনা কাপড় দিয়ে একটি খুপড়ি ঘর বানিয়ে গত ৬ বছর ধরে থাকেন সেখানে। এখানেই জন্ম হয় তার একমাত্র মেয়ের। অন্ধকারে জন্ম নেওয়ায় মেয়ের নামও রাখেন আন্ধারী। ধিরে ধিরে এই ফুটপাথে বেড়ে ওঠে আন্ধারী। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে মা-মেয়ে কোনো বেলা খেতে পারেন নাহয় থাকতে হয় উপোশ। প্রতিদিন ঠিক মতো খেতে না পারলেও চঞ্চল পথশিশু আন্ধারির স্বপ্ন, সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। জুলেখারও আশা মেয়েকে বানাবেন উচ্চ শিক্ষিত। তাই ঢাকা শহরকে আঁকড়ে ধরে আছেন বলে জানান জুলেখা।

       আরও পড়ুন:

বছরখানেক ধরে কারওয়ানবাজার এলাকায় গরিব মানুষদের ভালো কাজের বিনিময়ে খাবার দেয় ভালো কাজের হোটেল নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রোজার আগে দুপুরে খাওয়ালেও রোজায় খাওয়াবে কিনা তা জানা নেই জুলেখার। তাই ধরেই নিয়েছিলেন আজও ইফতার হবে খাবার ছাড়াই। সেজন্যই মা-মেয়ে বসে ছিলেন পানির বোতল হাতে।

যদিও ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে খাবার নিয়ে হাজির হয় ভালো কাজের হোটেলের সদস্যরা। খুশি মনে ছুটে যান মা মেয়ে। মন ভরে গ্রহণ করেন ইফতার। ইফতারিতে খেতে দেওয়া পোলাওয়ের কিছু অংশ আবার রেখে দেন সেহরিতে খাওয়ার জন্য।   

আন্ধারী এবং তার মায়ের আশা একদিন  কেউ না কেউ এগিয়ে আসবেন তাদের জন্য, সহায় হয়ে। ঘুঁচবে তাদের কষ্ট।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: