• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

এন্টার্কটিকায় বরফের কবর অ্যাডভেঞ্চার! 

মহুয়া রউফ, এন্টার্কটিকা থেকে

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
এন্টার্কটিকায় বরফের কবর অ্যাডভেঞ্চার! 

অভিযাত্রী তার সম্পূর্ন শরীর অর্থাৎ পা থেকে মাথা পর্যন্ত সে বস্তায় ঢুকিয়ে নেবেন এবং শুয়ে পড়বেন। শুধু মুখ খানা বাইরে থাকবে।

এন্টার্কটিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অ্যাডভেঞ্চার হলো ক্যাম্পিং। ক্যাম্পিং শব্দটা আমাদের দেশে ট্রাভেলারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় আর পরিচিত বিষয়। কি মনে হচ্ছে? অ্যান্টার্কটিকায় ক্যাম্পিং মানেই তাবু খাটিয়ে সারারাত ধরে চা-পান-সিগারেট খাওয়া? আর গল্প গুজুব? না গো না। এটা একেবারেই আলাদা কিছু। 

যারা ক্যাম্পিং করবেন তারা এখানে বরফ খনন করে শরীরের সমান আয়তকার গর্ত খুঁড়ে নেবেন। অনেকটা আমাদের  দেশে মাটি খুঁড়ে যেমন কবর তৈরী করা হয় সেরকম

অ্যান্টার্কটিক পেনিনসোলার মধ্যে একটি পাহাড় খুঁজে বের করা হয়েছে যার সর্বোচ্চ শিখর সমতল ময়দানের মতো। এবং যে পাহাড়ে বরফের পুরুত্ব অনেক বেশি। যারা ক্যাম্পিং করবেন তারা এখানে বরফ খনন করে শরীরের সমান আয়তকার গর্ত খুঁড়ে নেবেন। অনেকটা আমাদের  দেশে মাটি খুঁড়ে যেমন কবর তৈরী করা হয় সেরকম। হাঁটু সমান এ গভীর গর্তে প্রথমে বিছানো হবে একটি ফোম অনেকটা তোষকের মতো। তারপর সেখানে ক্যাম্পিং যারা করছেন তাদের দেয়া হবে একটি বস্তা। গরম কাপড় দিয়ে তৈরী সে বস্তা। অনেকটা আমাদের দেশের চালের চটের বস্তার মতো। অভিযাত্রী তার সম্পূর্ন শরীর অর্থাৎ পা থেকে মাথা পর্যন্ত সে বস্তায় ঢুকিয়ে নেবেন এবং শুয়ে পড়বেন। শুধু মুখ খানা বাইরে থাকবে। নিঃশ্বাস নেবার জন্যে। সাত ঘণ্টা রাত কাটাবেন এভাবেই। এটা অ্যান্টার্কটিকার ক্যাম্পিং। যদি স্বামী-স্ত্রী কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা দু জন একসাথে ক্যাম্পিং করতে চান তবে সে আয়তকার গর্ত দ্বিগুণ করতে হবে। এসব খাটা খাটনি নিজেকেই করতে হবে।

কাউকে এই সুবিধা নিতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস থেকে এক বছর আগে বুকিং দিতে হবে।

এটি সব অভিযাত্রীদের জন্য নয়। মাত্র দশ পনেরো জনের জন্য এটি বরাদ্দ। তাই কাউকে এই সুবিধা নিতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস থেকে এক বছর আগে বুকিং দিতে হবে। 
আমরা সব অভিযাত্রীই এই পাহাড়ে হাইক করে চূড়ায় উঠেছি।  কিন্ত ঘণ্টা দুয়েক থেকে এবং দেখে জাহাজে ফিরে গেছি। রয়ে গেছেন শুধু তারাই যারা ক্যাম্পিং করবেন। ছবির এ অংশটির নাম পরটাল পয়েন্ট (Portal Point)।

মন্তব্য করুন: