• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আমি যদি সোফি হতাম ট্রুডোকে ত্যাগ করতাম না: তসলিমা

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ৩ আগস্ট ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আমি যদি সোফি হতাম ট্রুডোকে ত্যাগ করতাম না: তসলিমা

সম্প্রতি বিচ্ছেদ হয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী  সোফি গ্রেগরীর। বিশ্বজুড়ে বেশ রোমান্টিক জুটি হিসেবে তাদের বেশ সুখ্যাতি ছিল। এই বিচ্ছেদের পর আবারও ডিভোর্স নিয়ে বেশ শোরগোল উঠেছে। সেই শোরগোলে দু লাইন লিখেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নিজের টাইমলাইনে ট্রুডো-সোফিকে নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন। বাংলাভিশনের পাঠকদের জন্য লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমি তো ডিভোর্স দিতে খুব পারি। ভাবতাম দুনিয়াতে  আমিই বুঝি  খুঁতহীন নির্ভেজাল  সম্পর্ক চাই,  ছোটলোকির সঙ্গে, প্রভুত্ব ফলানোর সঙ্গে আপোস একেবারেই করি না। এখন দেখছি আমার চেয়েও বেশি নিখুঁত সম্পর্কে বিশ্বাস করেন সোফি গ্রেগরী।  আমি যদি সোফি গ্রেগরী হতাম,  কোনওদিনই  জাস্টিনের মতো এমন সুদর্শন, আদর্শবান, এমন মানবিক এবং এমন পাগল করা প্রেমিককে ত্যাগ করতাম  না। সোফি গ্রেগরী আলাদা হয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো থেকে। এমন নিখুঁত সুপুরুষের কি সত্যিই কোনও খুঁত থাকতে পারে! ’

‘আসলে দূর থেকে আমরা কোনওদিনই জানবো না কী কারণে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। তারপরও আমার একটি আশা, কিছুদিন পর যখন স্বামী স্ত্রী তাঁদের সন্তানদের নিয়ে পারিবারিক ছুটি কাটাবেন, তখন পরস্পরের প্রতি তাঁদের যে তীব্র  ভালবাসা, সেটি  এক ফুঁৎকারে তাঁদের অভিমান, অভিযোগ, আর অসন্তোষগুলোকে তুলোর মতো উড়িয়ে দেবে। শুধু আশায় বসতি!  আমার আশা পুরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই সম্ভবত বেশি।’

‘পৃথিবীর কতো সুখী দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। কত আদর্শবান জুটির তালাক হয়ে গেল। আমরা বাইরে থেকে শুধু কল্পনা করে নিই উপন্যাসের নায়কের মতো, সিনেমার হিরোর মতো এক একজন পছন্দের পুরুষকে, যেন তারা অনৈতিক কিছু  করতে পারেন না। বিল ক্লিনটনকে নিয়েও তো এমনই ভেবেছিল গোটা জগত। কিন্তু দেখল  তাঁরও স্খলন হয়েছে, এত বড় স্খলনের পরও কিন্তু বিলের স্ত্রী বিলকে ডিভোর্স দেয়নি। আর জাস্টিনের কোনও স্খলন না থাকলেও সম্পর্ক চুরমার হয়ে গেল। হয়তো সোফি'ই নতুন কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছেন  কে জানে! অথবা কে জানে জাস্টিনই উভকামী কি না!  কেন অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাচ্ছি! নাক থাকলে নাক গলাতেই হয়।’

‘পাবলিক ফিগারদের জীবন পাবলিকের। পাবলিক তাঁদের নিয়ে গবেষণা করবে। তাঁদের চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে। পাবলিক তাঁদের জন্য হাহুতাশ করবে, কাঁদবে। পাবলিক তাঁদের সুখে সুখী হবে। পাবলিক ছাড়া তাঁদের চলে না। পাবলিকেরও তাঁদের ছাড়া চলে না।’

‘সুখী হওয়াটাই আসল। নিজের জীবন দিয়ে জানি আমি যখন একা, আমি সুখী। দু'তিনটে  টক্সিক মাসকুলিনিটির কবল  থেকে দ্রুত মুক্ত হয়ে আমি একা একাই ভাল থাকি। কিন্তু টক্সিক না হয়ে সম্পর্ক যদি ভালবাসাময় হতো! তাহলে ভালবাসা আঁকড়ে পড়ে থাকতাম সবটা জীবন। আসলে ভালবাসা ছেড়ে কেউ কোথাও যায় না। যারা যায়, অবিশ্বাসের সাপ তাদের ছোবল দিতে চায় বলেই যায়।’

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2