ডিভোর্সের ১২ বছর পর মায়ের জন্যে পাত্র খুঁজছেন মেয়ে

ছেলের পর এবার মায়ের বিয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন মেয়ে। কিছুদিন আগে কেরাণীগঞ্জের দুই ভাই নিজেদের মায়ের একাকীত্ব দূর করতে অভিনবভাবে ফেসবুকে বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজার বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনায় আসেন। এবার সেপথে হেঁটেছেন এক মেয়ে ফারাহ জামান।
নিজের ১২ বছর আগে ডিভোর্স হওয়া শিক্ষিকা মাকে বিয়ে দেওয়া জন্য পাত্র খুঁজছেন ফারাহ জামান। রাজধানীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেছেন তিনি। তার বড় ভাই রেহমান মুশফিক এ-লেভেল শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন।
জানা গেছে, কয়েক দিন পর ফারাহও চলে যাবেন কানাডায়। তাই মা মুস্তারি পারভীনের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি। বুধবার (৪ আগস্ট) ফারাহ জামানের পোস্টটি নেটিজেনদের নজরে আসে।
মায়ের একাকীত্বের কথা ভেবে মঙ্গলবার রাতে ‘বিসিসিবি মেট্রিমনিয়াল: হেভেনলি ম্যাচ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেন ফারাহ। সেখানে মুস্তারি পারভীনের চারটি ছবিসহ পোস্টে ফারাহ লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমার আম্মুর জন্য পাত্র খুঁজছি।’
মায়ের সম্পর্কে ফারাহ লেখেন, ‘পাত্রীর নাম মুস্তারি পারভীন। জন্ম ১৯৭৭ সালে। উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ৫৮ কেজি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্থায়ী ঠিকানা: দিনাজপুর, বর্তমান ঠিকানা: মিরপুর। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। আমার মা একজন ডিভোর্সী নারী। ডিভোর্সের ১২ বছর হতে যাচ্ছে। তার ২২ বছরের একটি ছেলে এবং ১৮ বছরের একটি মেয়ে আছে। এতদিন বাচ্চাদের জন্য বিয়ে করা হয়নি। এখন তার বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে। তাই আম্মুর একজন জীবনসঙ্গী দরকার। আম্মুর জন্য ভালো মনের একজন জীবনসঙ্গী খুঁজছি।'
কেমন পাত্র চান পোস্টে সেই তথ্যও জানিয়েছেন ফারাহ। তিনি লিখেছেন, ‘পাত্রের বয়স ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হলে ভালো হয়। পাত্রকে শিক্ষিত, ভালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবী হতে হবে। পাত্র যেন অবশ্যই ঢাকার মধ্যে বসবাস করে। কেউ আগ্রহী হলে আমাকে ইনবক্স করুন।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ফারাহ-মুশফিকের বাবা-মা বিয়ে করেন। কিন্তু ২০১০ সালে ১৪ বছরের সংসারের ইতি ঘটে। এরপর থেকে দুই সন্তানকে একাই মানুষ করার দায়িত্ব নেন মুস্তারি পারভীন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: