সেবার মানে খুলনা বিভাগে এক নম্বরে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সারা দেশের ৪৩৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোর মধ্যে সেবার মানে খুলনা বিভাগে এক নম্বরে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর সারা দেশের মধ্যে চার নম্বর অবস্থানে।
এর আগে ২০২৪ সালে সরকারী এই হাসপাতালের অবস্থান ছিলো ৯০ নম্বরে। আর ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালের জরিপে অবস্থানে ছিলো ৩৭৫ নম্বরে। দেশ সেরা হবার লক্ষে সেবার মান বাড়নোসহ নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ দায়িত্বরতরা। তবে পিছুটান হয়ে দাড়িয়েছে নানা সংকট।
জানা যায়, সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা সেবার মান ঠিক রাখতে জরিপ পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্থা টির এমআইএস শাখা চলতি বছরে দেশের ৪৩৫ টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন একটি জরিপ পরিচালনা করে।
৯টি বিষয়ে ৪৫ টি ইন্ডিকেটর এর উপর ভিত্তি করে অনলাইন সফটওয়্যার (DIH2) এর ডাটার ভিত্তিতে ওই এইচএসএস স্কোলিং করা হয়। এখানে মোট ১০০ নম্বরের উপর মার্কিং করা হয়। যেখানে ডাটার ভিত্তিতে ৯০ নম্বর আর সিভিল সার্জন অফিসের অন সাইট মনিটরিংয়ে ১০ নম্বর। গেল মে-২০২৫ ওই জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রাপ্ত নম্বর মোতাবেক স্বাস্থ্যসেবায় মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সারা দেশের ৪ নম্বরে আর খুলনা বিভাগে এক নম্বরে অবস্থান তৈরী করে।
মোংলা সামসুর রহমান সড়কের বাসিন্দা সেলিনা আক্তার জানান, কয়েক বছর আগেও মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা সেবার মান খুব খারাপ ছিলো। আমরা প্রায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতাম। আর বড় কোন সমস্যা থাকলে খুলনায় যেতে হতো। তবে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ডাক্তার শাহীন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখানে সেবার মানের পরিবর্তন এসেছে। এমনকি গরীব অসহায় নারীরা এখানে চিকিৎসার পাশাপাশি সিজারও করাতে পারছেন।
মাদ্রাসা সড়ক এর বাসিন্দা আবদুল মান্নান মোল্লা বলেন, মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ সাফল্য গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয় একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা করে গন বসতি পুর্ণ শ্রমিক অধ্যাসিত এলাকায় হাসপাতালটি দেশের চার আর খুলনার এক নম্বর অবস্থানে গিয়ে স্থানীয়দের মাঝে স্বাস্থ্য সেবার নতুন আশার আলো জাগিয়েছে। তার দাবি,এ সফলতা এসেছে এখানে দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা ডা. শাহিন এর সঠিক দিকনির্দেশনা ও সকলের সম্মানিত প্রচেষ্টা।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান কর্মকর্তা ডা.মো শাহিন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি চেষ্টা করছি, চিকিৎসা সেবা স্থানীয়দের দৌড় গড়ায় পৌঁছে দিতে। তবে এই হাসপাতালের ভবন ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই নতুন ভবন তৈরী করা জরুরী। আর চাহিদা অনুযায়ী ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা প্রয়োজন। একই সাথে চিকিৎসক, টেকনোলজিস্টসহ শূর্ণ্য থাকা জনবল সংকটের কারনে চাহিদা মতো সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তারপরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এই সফলতা বয়ে এনেছে। সংকট দুর করা গলে বাংলাদেশের ৪৩৫ টি হসপিটালের মধ্যে এক নম্বরে থাকবে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
১৯৮৪ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর যাত্রা শুরু হয়।এর পর ২০০৭ সালে উন্নীত করা হয় ৫০ শয্যায়।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: