• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জলবায়ু পরিবর্তন: যার ক্ষতি বেশি তার জন্যই নেই বরাদ্দ (পর্ব-২)

বিপর্যস্ত উপকূল: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার টাকা যাচ্ছে নগর উন্নয়নে!

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১১:৫১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ

সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়ন। লবনপানির গ্রাসে প্রাণ বাঁচাতে সুন্দরবন লাগোয়া এই এলাকায় জরায়ু কাটতে বাধ্য হচ্ছেন নারীরা। সন্তান ধারণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি চর্মরোগে সৌন্দর্য কমে নজর হারাচ্ছেন স্বামীর। ভাঙছে বহু সংসারও। সব হারিয়ে ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে এখানকার নারী জীবন। 

এতেই শেষ নয়। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে ডায়েরিয়া, আমাশয়, জ্বর, সর্দিকাশি এবং সন্তান জন্ম দেওয়াসহ মামুলি রোগেও চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাতে হয় নারী-শিশুসহ দুর্বল মানুষদের। এই যখন পরিস্থিতি তখন ইউনিয়নের ৪০ হাজার মানুষের চিকিৎসার একমাত্র সম্বল বলতে আছে ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক।

ওয়ার্ড সংখ্যার বিবেচনায় গাবুরা ইউনিয়নে থাকার কথা ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং পুরো ইউনিয়নের জন্য থাকার কথা একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও।  কিন্তু চিকিৎসক সংকটে বন্ধ পাওয়া যায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। অপরদিতে ৫টির পরিবর্তে ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে সেগুলোকে অনেকটাই রোগাক্রান্ত দেখা যায়। এর মধ্যে ডুমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের অধিনেই বসবাস প্রায় ২০ হাজার মানুষের। এই ক্লিনিকটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে আছে বাহুদিন আগ থেকেই। বাধ্য হয়ে আপাতত ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে চলছে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম। কিন্তু যেই কক্ষে এই ক্লিনিক চলছে সেই কক্ষের নেই জানালা। দরজাও খুবই বেহাল। ফলে প্রায়ই চুরি হয় মালামাল।

অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই অবস্থিত চাঁদমুখা কমিউনিটি ক্লিনিক চলছে ছোট্ট দুটি কক্ষের একটি বিল্ডিংয়ে, তবে তা খুবই জরাজির্ন অবস্থায়। রোগী ও চিকিৎসকরা বসেন গাদাগাদি করে। প্রতিনিয়তই রোগীদের গায়ে ভেঙে পড়ে পুরোনো এই ভবনের ইট-সুরকি। প্রতিবেদন সংগ্রহকালে উপর থেকে বালু পড়ে অপরিচ্ছন্ন হয় প্রতিবেদকের জামাও। শুধু তাই নয়, এই ক্লিনিকের দরজা-জানালাগুলোও নষ্ট। ছাদ ভেঙে পড়ার ভয়ে ফ্যানও লাগানো যাচ্ছে না এখানে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সেবা নিতে আসা রোগীদের। জরাজির্ণ চাঁদমুখা কমিউনিটি ক্লিনিক

এই দুটো ক্লিনিকেরতো অন্তত ঠিকানা পাওয়া গেছে। অপর একটি ক্লিনিক গাবুরা কমিউনিটি ক্লিনিকের নেই নিজস্ব কোনো ঠিকানাও। এই ক্লিনিকটি চলছে ওই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে। স্থানীয়রা জানান ক্লিনিকটির দায়িত্বরত কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার রাবেয়া সুলতানা একেক সময় একেক বাড়ি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বসেন। সেখানেই আসেন রোগীরা। এভাবেই চলে চিকিৎসা কার্যক্রম। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদমুখা কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাভিশনকে বলেন, ‘আমি আর কি বলবো। আপনাদের গায়ে ময়লা পড়েছে আপনারাই দেখছেন কি অবস্থা। ছাদ ভেঙে পড়ার ভয়ে ফ্যান লাগাতে পারি না। কারণ ফ্যানের ‘জারকিং’ এই ছাদ সহ্য করতে পারবে না। সারাদিন ইটসুরকি পড়ে। বাইরে থেকে দেখলেও বুঝার উপায় নেই এই ভবন ব্যবহারযোগ্য। তবু কোনোমতে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শুধু ভবন সমস্যা না, লোকবলও নেই। অথচ এখানো ডেলিভারির ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।

ডুমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক কমিউনিটি হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার হেলেনা বিলকিস বলেন, আমাদের ক্লিনিকের ঘরটা বহু আগেই নষ্ট হয়ে ব্যবহার অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। এখন আমরা যেখানে আছি সেটাও ব্যবহার অনুপযুক্ত। তবে আমাদের ঘরের তুলনায় কিছুটা ভালো। কিন্তু এটা এতই স্যাতস্যাতে যে, রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয়। কারেন্ট চলে গেলে কিছু দেখাও যায় না। তবু আমরা যতটুকু পারছি সেবা দিয়ে যাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, শুধু ঘরের সমস্যা না। আমাদের মানুষের চাহিদার তুলনায় ওষুধও খুব কম। রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। এন্টিবায়োটিকের কোর্স ফিলাপ করার মতো ওষুধ আমরা পাই না। উপজেলা হাসপাতালে যেতে একরকম যুদ্ধ করতে হয় গাবুরার মানুষকে

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ফরিদা পারভীন বলেন, ‘আমি সবসময় যেখানেই সুযোগ পাই সবার কাছে দাবি করি আমাদের জন্য একটা হাসপাতালের যেন ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের একটা হাসপাতাল খুব দরকার। এলাকার মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মরে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায়। এখানে নারীদের জন্য একটা হাসপাতাল খুব দরকার।’ 

ধারেকাছে ভালো হাসপাতাল না থাকায় দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই এলাকার মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে। ভঙ্গুর যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে সেটুকু যেতে রিতিমত যুদ্ধ করতে হয়। যুদ্ধ করে উপজেলা হাসপাতলে গিয়েও তেমন সেবা মেলে না তাদের। কারণ সেই হাসপাতালেরও প্রাণ যায় অবস্থা। 

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, এই হাসপাতালটিরও অধিকাংশ কক্ষে ইট-সুরকি ভেঙে পড়ছে। একের পর এক কক্ষ অকেযো হওয়ায় কিছুদিন পর পরই পরিবর্তন হচ্ছে জরুরি সেবা বা বহির্বিভাগের কক্ষগুলো। ভবনটি এতটাই জরাজির্ন যে স্ট্রেচারে রোগী উঠানামাও অনেকটা অসম্ভব হওয়ায় সার্জারি রোগীদের ওয়ার্ডে নিতে ব্যবহার করতে হয় অন্য ভবন। আর প্রতিদিন ৭ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ জনবলও।

শুধু যে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা এমন তা নয়। একই অবস্থা চোখে পড়ে জেলার দেবহাটা উপজেলায় গিয়েও। জলবায়ু জনিত নানান রোগ নিয়ে এসব হাসপাতালে রোগী বেশি এলেও চিকিৎসা বরাদ্দ মিলে অন্য ৫-১০টা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সের মতোই।

এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি আমার হাসপাতালের অন্য কোনো সমস্যাকে এখন সমস্যা মনে করি না। শুধু জরাজির্ন ভবনটাই আমাদের সমস্যা। ক’দিন পর পর রুম পাল্টাতে হচ্ছে। এটার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। এটার কিছু করা দরকার। 

জলবায়ুজনিত কারণে রোগী বেশির তুলনায় বরাদ্দ কেমন আসছে জানতে চাইলে জেলার দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমাদের কাছে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি পানিবাহিত নানান রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, জরায়ু ইনফেকশনসহ লবনাক্ততাজনিত বিভিন্ন রোগের রোগী অনেক বেশি আসে। তবে আমাদের জনবল ও বরাদ্দ দেশের অন্যসব হাসপাতালের মাতোই একই নিয়মে আসে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক (জলবায়ু অর্থনীতি গবেষক) শারমিন নিলর্মী বাংলাভিশনকে বলেন,  উপকূলে কিছু সুনির্দিষ্ট সমস্যা আছে। যেটুকু স্বাস্থ্যসেবা আছে সেটা এই সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করতে পারে কিনা সেটা যদি দেখি তাও কিন্তু করা হচ্ছে না। অর্থাৎ উনারা এখনো টিকা দেওয়া কর্মসূচি, মায়ের ডেলিভারিসহ এই সংক্রান্ত বিষয়ে উনারা একেবারেই অন্যসব উপজেলা হাসপাতালের মতোই ডিল করেন। এটা যে আলাদা ইস্যু এবং আলাদা একটা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে এই এলাকার প্রজনন স্বাস্থ্য রয়েছে এটা দেখা হচ্ছে না। আমি মনে করি আমাদের এসডিজির যে কার্যক্রম সেটা থেকেও নারীস্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।  

পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে উপকূলের নারীরা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। সবাই যখন উপকূলের এই ক্ষতিগ্রস্ত জনপদের উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে তখনও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট্র চলছে একেবারেই উল্টো পথে। 

জলবায়ু ঝুঁকির প্রকল্পে পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন উন্নয়ন

দেশে জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৫১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৫৬.৩৭৮২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট। গত ১৩ বছরে তাদের নেওয়া ৮১৮টি প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনে নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকলেও তাদের জন্য মাত্র ৩টি প্রকল্প দিয়েছে ট্রাস্ট। সাড়ে তিন হাজার কোটির জলবায়ু তহবিলে নারী ও শিশুর জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রকল্প বাছাইয়ে স্বাস্থ্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্যকেও দেওয়া হয়েছে মাত্র তিনটি প্রকল্প।

অপরদিকে ঝুঁকি মোকাবিলার এই ট্রাস্টের বরাদ্দের বড় অংশই (৬১ শতাংশ) গিয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পের পেছনে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অনুমোদিত ৮১৮টি প্রকল্পের ৪৯২টিই পেয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। এছাড়া, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা থাকলেও গত ১৩ বছরে গবেষণা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মাত্র ২৬টি।

পৌরসভার সড়কবাতি বসানো হয়েছে জলবায়ুর টাকায়

এইসব প্রকল্প পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অধিকাংশ প্রকল্পই দেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলার পৌরসভাগুলোকে। যা দিয়ে পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, বাতি স্থাপনের কাজ এমনকি সড়ক কাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট্রের এমন কার্যক্রমকে জলবায়ু ন্যায় বিচারের পরিপন্থি মন্তব্য করে জলবায়ু অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসাইন খান বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট্রের সবশেষ বরাদ্দের যে চিত্র আমরা দেখছি তাতে এটা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে একথা বললে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এখন উন্নয়ন প্রকল্পকে জলবায়ু অবিযোজন নামে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটার মূল কারণ তাদের কাছেও স্থানীয়ভাবে তথ্য বা গবেষণা নেই যে আদৌ যে প্রকল্পগুলো যাচ্ছে সেগুলো জলবায়ু অভিযোজনের প্রকল্প কিনা। সুতারাং এটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে ট্রাস্ট ফান্ট কি ক্রমন্বয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কোনো ইউনিটে পরিনত হচ্ছে কিনা?

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ঝুঁকিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি তাহলে ঝুঁকি মোকাবিলায় যা করা দরকার সরকারের পক্ষ থেকে তাই করা উচিত এবং ট্রাস্টফান্ডের উদ্যোগ নেওয়া উচিত কিভাবে অগ্রাধিকার খাতে তারা বরাদ্দ দিবে।

ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা অর্থাৎ ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ না দেওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন থেকে উন্নয়নের সঙ্গে তুলনা করে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করা না হলে দুর্যোগ ঝুঁকি যে হারে বাড়ছে তাতে আগামীতে অর্থনৈতিক  সংকটের ঝুঁকি তৈরি হবে বলেও মান করেন এই জলবায়ু অর্থয়ন বিশেষজ্ঞ।

ট্রাস্টে নারী-শিশু, স্বাস্থ্য এবং গবেষণা প্রকল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হয় দাবি করে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুন নাহার হেনা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে এ পর্যন্ত তিনটি প্রকল্প নিয়ে এসেছিল। সেগুলো চলমান আছে। কিন্তু এটা আসলেই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আমি আশা করবো সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নারী-শিশু, স্বাস্থ্য ও গবেষণা বিষয়ে প্রকল্প নিয়ে আসবে। ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আমি এই ধরনের প্রকল্পকে প্রাধান্য দিতে আমার টেকনিক্যাল বডি ও ট্রাস্টিদের সামনে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরবো।

তবে এলজিআরডিকে বেশি প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাস্টে নতুন এসেছেন দাবি করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

আরও পড়ুন: প্রথম পর্ব- প্রাণ বাঁচাতে জরায়ু অপসারণে বাধ্য হচ্ছেন উপকূলের নারীরা

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2