• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

১৮ বছর পর স্ট্রোক রোগীকে কথা বলাল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা

প্রকাশিত: ২০:২৮, ২৫ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ২০:২৯, ২৫ আগস্ট ২০২৩

ফন্ট সাইজ
১৮ বছর পর স্ট্রোক রোগীকে কথা বলাল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যুগান্তকারী একটি প্রযুক্তি নিয়ে জোর চর্চা উঠেছে। এই প্রযুক্তির কল্যানে শারীরিক উন্নতি ঘটছে প্যারালাইজ হয়ে যাওয়া মানুষদের। যে সকল মহিলা স্ট্রোক বা ALS-এর কারণে কথা বলা বা যোগাযোগ করার শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁদের কল্যাণে কাজ করছে এই প্রযুক্তি।

সেই সকল মহিলাদের মস্তিষ্কের সংকেত এবং মুখের অভিব্যক্তিকে রূপান্তর করে একটি ডিজিটাল অবতারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এর আগে স্ট্রোক হওয়া রোগীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য স্পিচ থেরাপির উপর নির্ভর করতে হত চিকিৎসকদের।

এই সকল রোগীদের কথোপকথনে প্রায়শই চোখের নড়াচড়া এবং শব্দ গঠনের সূক্ষ্ম অভিব্যক্তি জড়িয়ে থাকে। তাঁদের কথার আসল উদ্দেশ্যে ও আবেগ বুঝতে অসুবিধা হত মানুষদের। সেই ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তাঁদের সঙ্গে কথোপকথন মসৃণ করতে সাহায্য করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

প্যারালাইজড মানুষের সঙ্গে AI-এর কথোপকথন:

সম্প্রতি ইউটিউবে ইউসি সান ফ্রান্সিসকো দ্বারা আলটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়। সেখানে এই প্রযুক্তির কার্যকলাপ দেখান তারা। এই প্রযুক্তিটি মস্তিষ্কের ত্বকে রাখা ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করে তার স্পিচ এবং মুখের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ শনাক্ত করে।

এর থেকে পাওয়া সংকেতগুলি তৎক্ষণাৎ একটি ডিজিটাল অবতারে রূপান্তর করে প্রযুক্তিটি। উক্ত রোগীর স্পিচ এবং মুখের আবেগগুলিকে ফুটিয়ে তোলে ওই ডিজিটাল অবতার। এই আবেগের মধ্যে থাকে হাসি, বিস্ময় এবং ভ্রুকুটির মতো অভিব্যক্তি।

যে রোগীর উপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে তার নাম অ্যান। বয়স ৪৭ বছর। এই মহিলা ব্রেনস্টেম স্ট্রোকের পর ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে প্যারালিজড হয়ে ছিলেন। তিনি কথোপকথন করতেন খুব ধীর গতিতে। বিশেষ মোশন ট্র্যাকিং প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতি মিনিটে ১৪টি শব্দ বলতে পারতেন।

সুত্র বলছে, আলোচ্য এআই ডিজিটাল অবতারের সহায়তায় তার কথোপকথন আগের থেকে উন্নত হয়েছে। জানা গেছে, অ্যানের মস্তিষ্কের ত্বকে ২৫৩টি কাগজ-পাতলা ইলেক্ট্রোড বসিয়েছেন চিকিৎসকেরা। উক্ত অবতার প্রযুক্তির সাহায্যে তিনি বর্তমানে কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করা শুরু করেছেন।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই বিকাশ যে নিঃসন্দেহে বড় আবিষ্কার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই চিকিৎসার পরই থেমে থাকেননি অ্যান। তিনি একটি দলের সঙ্গে যোগ দেন যারা এই সংক্রান্ত এআই অ্যালগরিদমের উপর কাজ করছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে সহযোগিতা শুরু করেন তিনি। এর ফলাফলও পান তারা। ওই অ্যালগরিদম সফলভাবে ৩৯টি শব্দ শিখতে পেরেছে। 

চ্যাটজিপিটি’র একটি ভাষা মডেল সেই শব্দগুলি বাক্যেও পরিণত করেছে। এই বাক্যগুলি ডিজিটাল অবতারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

সুত্র: এইসময়
 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: