তরুণ প্রজন্মের জন্য তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত: পলক

ফাইল ছবি
দেশের মেধাবী তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, তরুণ-তরুণীদের সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে। সময়ের চাহিদার সাথে তালমিলিয়ে নিজেরা যাতে দক্ষতা তৈরি করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রতিবছর এ সেন্টারের কারিকুলাম পরিবর্তন করা হবে বলেও তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনন্দপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী,
তরুণদের চাকরির পিছনে ছুটতে হবে না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা শুধু নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে না, অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করবে।
তিনি বলেন, আমাদের নীতি কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে এবং সময়নুবর্তীতা অনুসরণ করতে হবে। শুধু সময় মতো না; সময়ের আগে আমরা কাজ করতে চাই। তিনি তরুণদের ঢাকামুখী হতে হবে না উল্লেখ করে বলেন, এই ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রতি বছর অত্র এলাকার এক হাজার ছেলে-মেয়ে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। এর বাইরেও হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
স্থানীয় কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারের নাম উল্লেখ করে পলক বলেন, যারা চাকরির পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়েছে তারাই আরো অনেকের চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা, জরুরি হেল্প লাইন ৯৯৯, ৩৩৩ নম্বর এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার ও প্রশাসনিক কাজে সরকারের ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলছে।
এর আগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনন্দপুরের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে, ৮ একর জায়গার ওপর, ৭ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহিদ, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম।
বিভি/এসআই/টিটি
মন্তব্য করুন: