• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সাইবার ইস্যুতে প্রতিমন্ত্রী পলককে যে প্রশ্ন ছুঁড়লেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২২:৩৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ফন্ট সাইজ
সাইবার ইস্যুতে প্রতিমন্ত্রী পলককে যে প্রশ্ন ছুঁড়লেন ব্যারিস্টার সুমন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশনে সম্পূরক প্রশ্নোত্তর পর্বে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে প্রশ্ন করেন, সামগ্রিক ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা আমাদের মাঝে ছড়িয়েছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

কিন্তু ২০১৬ সালে সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয় যে অর্থ আমরা ফেরাতে পারিনি। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের “অন্ধকার দিক” নিয়ে আমরা কতটুকু তৈরি? 

উত্তরে জুনায়েদ আহমেদ  পলক বলেন, গত ১৫ বছরে দেশ প্রচুর ডিজিটাইজড হয়েছে, সাড়ে ৫২ হাজার ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছে, ২৫০০ সেবা ডিজিটাইজড হয়েছে, ১৩ হাজার অফিসে দেড় লাখ কর্মচারী ই-নথির মাধ্যমে কাজ করছে। আমরা ক্যাশল্যাস সোসাইটির দিকে যাচ্ছি। 

আমাদের সামগ্রিক জিডিপির সাইজ প্রায় সাড়ে চারশ বিলিয়ন ডলার, জিডিপি গ্রোথ খুবই স্থিতিশীল, পার ক্যাপিটা ইনকাল ২৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যে লেনদেন এই কারনে আমাদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
“ডেটা ইজ দ্যা নেক্সট ওয়ার” উল্লেখ করে প্রতিমিন্ত্রী বলেন, তেল, গ্যাসের থেকেও ডেটার গুরুত্ব বেশি। যে কারনে আমরা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রনয়ণ করেছি এবং ২০১৬ সালের পরে আর কোনো বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়নি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রী দেশের নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসী তৈরি করছি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারন্যাস তৈরি করছি, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং কম্পিউটার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম তৈরি করেছি। 

এছাড়া ৩৪ টি প্রতিষ্ঠানকে সিআইআই বা ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাক্চার হিসাবে ঘোষণা করেছি যাদের নিয়মিত মনিটরিং করা হয় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ চলছে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু একা নয়, সাইবার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত, আমেরিকা, জাপান দক্ষিণ কোরিয়া এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সাথে সমন্বয় সাইবার করে সাইবার স্পেস সুরক্ষায় কাজ করছি। 

আর্থিক লেনদেন, স্যোসাল মিডিয়া ম্যানেজম্যান্ট এবং ডিজিটাল লিটারেসীর কোনো বিকল্প নেই বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল লিটারেসীর যদি যুক্ত করা যায় তাহলে ছোট থেকেই স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিকরা ডিজিটালী লিটারেট হয়ে বেড়ে উঠত। সব মিলিয়ে দেশের সাইবার স্পেসকে সুরক্ষিত করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।  


 


 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: