ব্রডব্যান্ডের চেয়ে ৪৫ লাখ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট আবিষ্কারের দাবি

‘অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহাম’-এর বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল সম্প্রতি ইন্টারনেটেরগতির বিস্ময় সৃষ্টি করা এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। দলটি এমন একটি আদর্শ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে যা বর্তমান ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চেয়ে ৪৫ লাখ গুণ দ্রুতগতির। এ গতিতে, ‘ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেস (আইএমডিবি)’র তালিকাভুক্ত সবগুলো সিনেমা ডাউনলোড করতে সময় লাগবে কেবল এক মিনিট।

যুক্তরাজ্যের অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ডিজিটাল টেকনোলজিস বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ান ফিলিপস বলেন, বাড়ি বা অফিসের ইন্টারনেট সংযোগে ব্যবহৃত অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ডেটা পাঠানো হয়েছিল এতে। তবে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে পাওয়া সি ও এল-ব্যান্ডের পাশাপাশি আমরা এখানে ই-ব্যান্ড ও এস-ব্যান্ড নামের দুটি অতিরিক্ত বর্ণালী ব্যান্ড ব্যবহার করেছি। এ ধরনের ব্যান্ড সাধারণত ব্যবহার করা হয় না কারণ সি ও এল-ব্যান্ডেই ভোক্তাদের চাহিদা মেটানোর প্রয়োজনীয় ধারণক্ষমতা আছে।

আর্ন্তজাতিক একাধিক গণমাধ্যম বলছে, ডেটা আদান-প্রদানের এই অবিশ্বাস্যহার নতুন ‘অপটিক্যাল প্রসেসিং’ ডিভাইস তৈরির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। এতে বিভিন্ন এমন তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে ব্যান্ডউইথ সামনে এসেছে, যা এর আগে কখনও ফাইবার অপটিক সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়নি। গবেষকদের দাবি এই নতুন প্রযুক্তি ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহে সহায়ক হতে পারে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ফাইবার ও তারের ব্যবহার ছাড়াই ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর এ ক্ষমতাকে বাণিজ্যিক ইন্টারনেট গতি আপগ্রেড করার ‘ইতিবাচক’ উপায়। অপটিক্যাল ফাইবার প্রযুক্তির অগ্রগতি যে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক খাতে বিপ্লব ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তা ফুটে উঠেছে যুগান্তকারী এ অর্জনে। এর মধ্যে রয়েছে দ্রুতগতির ও নির্ভরযোগ্য ডেটা আদান-প্রদানের মতো বিষয়গুলোও। গবেষণাটি প্রকাশ করেছে ‘ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইটি)’, যা উপস্থাপিত হয়েছিল ‘ইউরোপিয়ান কনফারেন্স অন অপটিক্যাল কমিউনিকেশন (ইওসিসি)’ আয়োজনে।