• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

প্রতি ২মিনিটে অন্যের সাহায্য চান একজন মানুষ, পান কত বার? গবেষণা যা বললো

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ১৬:২৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

ফন্ট সাইজ
প্রতি ২মিনিটে অন্যের সাহায্য চান একজন মানুষ, পান কত বার? গবেষণা যা বললো

ভূপেন হাজারিকার গান “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য” গানের যথার্থতা আজকের প্রতিবেদনে দেখতে পাবেন। মানুষের সহানুভূতি আছে বলেই হয়তো এখনও বহু মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান জুটে যায় কোনও না কোনও সময়। বর্তমানে মানুষ সত্যিই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পথচলতি এমন অনেককেই দেখা যায়, যারা কারও সাহায্যের আহ্বানে কান না দিয়ে এগিয়ে যান নিজের গন্তব্যে। 

হয়তো প্রথমেই বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না। আবার অনেকে শত ব্যস্ততাতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রতি মুহূর্তে মানুষ মানুষের থেকে সাহায্য চান। সাহায্য়ও করেন অনেকে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (UCLA) এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানীরা যৌথভাবে একটি গবেষণা করেছেন। এই গবেষণার লক্ষ্য ছিল, সমাজে মানুষ একে অপরকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে কি না বা সাহায্যে হাত বাড়াচ্ছে কি না তা দেখা। তার যা ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে, তা জানলে আপনি অবাক হবেন।

কীভাবে করা হল এই গবেষণা?

গবেষকরা এর জন্য কোনও একটি দেশ নয়, বিভিন্ন স্থান ও সংস্কৃতির মানুষ, যা একে অপরের থেকে একেবারেই আলাদা, তাদের বেছে নিয়েছিলেন। গবেষকরা ৩৫০ জনেরও বেশি মানুষের দৈনন্দিন কথোপকথন শুনেছেন। যা ৪০ ঘণ্টার বিভিন্ন রেকর্ডিং ছিল। তাতে তাঁরা দেখেছেন, প্রতি দুই মিনিটে মানুষ কোনও না কোনও কাজে বিভ্রান্তিতে পড়ে। কখনও কখনও তারা প্রকাশ্যে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে, আর কখনও শুধুমাত্র পরিচিত একটি মানুষের কাছেই যায়।

নেচার সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, দৈনন্দিন জীবনে, ছোট ছোট যে কোনও কাজের সময়ই মানুষ সাহায্য চায়। সে রান্নার কাজ থেকে শুরু করে ঘরের যে কোনও কাজ, আবার রাস্তায় চলাকালীন যে কোনও সময় মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে।

এই গবেষণার ফলাফল কী?

গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দেখেছেন, মানুষ দু’মিনিট অন্তর অন্তর কারও না কারও থেকে সাহায্য চায়। এমনকি সাহায্যের হাত বাড়িয়েও দেয় বহু মানুষ। কিন্তু তা কতবার? গবেষণায় উঠে এসেছে একটি মানুষ দিনে ৭ বারের বেশি সাহায্য করেন না। কিন্তু কেন? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কোনও মানুষের সাহায্যের হাত না বাড়ানোর কারণ এই নয় যে, সামনের ব্যক্তি সাহায্য করতে চায় না, বরং এর কারণ হল সেই ব্যক্তি ব্যস্ত।

অর্থাৎ, মানুষের মধ্য়ে ব্যস্ততা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, কেউ সাহায্য চাইলেও তা এড়িয়ে চলে যায়। আবার কখনও এমনও হয়, আপনি সাহায্য় চাইলেও উল্টো দিকের মানুষটির তা করার সাধ্য থাকে না। বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন যে, ৭৪ শতাংশ মানুষ সাহায্য না করার পিছনে তার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

গবেষণাটি ইতালি, ব্রিটেন, পোল্যান্ড, রাশিয়া, ঘানা, লাওস, অস্ট্রেলিয়া এবং ইকুয়েডরের মানুষের মধ্যে করা হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, এই ফলাফল সবার মধ্য়েই সমান। অর্থাৎ যে কোনও ভাষার বা যে কোনও সংস্কৃতির মানুষের ক্ষেত্রেই তা একই। একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি প্রাণ বাঁচে, একজন বাঁচার স্বপ্ন দেখে, তাতে হয়তো মানুষ জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পাবে। জয় হোক মানবজাতির, জয় হোক মানবতার।

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন: