• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫

‘মার্কিন নভোচারীরা সত্যিই চাঁদে পৌঁছেছিলেন তার কোনো প্রমাণ নেই’-দিমিত্রি রোগোজিন

প্রকাশিত: ১৮:০০, ৮ মে ২০২৩

আপডেট: ১৮:০০, ৮ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
‘মার্কিন নভোচারীরা সত্যিই চাঁদে পৌঁছেছিলেন তার কোনো প্রমাণ নেই’-দিমিত্রি রোগোজিন

ছবি: রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রোজকসমস স্পেস এজেন্সির সাবেক প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন

রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রোজকসমস স্পেস এজেন্সির সাবেক প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন বলেছেন, আমেরিকার অ্যাপোলো-১১ চন্দ্রযান ১৯৬৯ সালে সত্যিই যে চাঁদের বুকে পৌঁছেছিল তার কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, অনেকেই চন্দ্রাভিযানের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের পক্ষে সাফাই গাইলেও কেউ অকাট্য প্রমাণ দিতে পারেনি।

দিমিত্রি রোগোজিন ১৯৬৯ সালের মার্কিন চন্দ্রাভিযানের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, তিনি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রমাণ দেখার অপেক্ষায় আছেন। গতকাল রোববার টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক পোস্টে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাবেক প্রধান বলেন, তিনি প্রায় দশ বছর আগে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন যখন তিনি রুশ সরকারের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ করছিলেন। 

তিনি বলেন, মার্কিন নভোচারীরা সত্যি চাঁদের বুকে পা রেখেছিলেন কিনা এ ব্যাপারে তিনি সন্ধিহান হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে তিনি রুশ ও মার্কিন নভোচারীদের কথা তুলনা করে বলেন, তারা যখন তাদের রকেট নিয়ে পৃথিবীর বুকে ফিরে আসেন তখন তাদের কতটা বিধ্বস্ত লাগছিল এবং মার্কিন অ্যাপোলো-১১'র নভোচারীদের কতটা ফুরফুরে লাগছিল সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

দিমিত্রি রোগোজিন জানান, ২০১৮ সালে রোজকসমসের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি মার্কিন নভোচারীদের চাঁদে পৌঁছানোর বিষয়টি সম্পর্কে প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ বিষয়ে রাশিয়ার কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী প্রমাণ সরবরাহ করার পরিবর্তে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। রোগোজিনের সমালোচনা করে তারা বলেন, তার এই তৎপরতার কারণে নাসার সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয়ে আছেন তারা। এমনকি শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তিনি ফোন কল পান যাতে ওই কর্মকর্তা রোগোজিনকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জটিল করার ব্যাপারে অভিযুক্ত করেন।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া পোস্টে রোগোজিন সবশেষে বলেছেন, তিনি এখনো বিশ্বাস করতে পারেন না যে, আমেরিকার নভোচারীরা চাঁদের বুকে পা রাখার সামর্থ্য অর্জন করেছিলেন এবং এখনো সেই সামর্থ্য তাদের হয়নি যদিও ১৯৬০ এর দশকের চেয়ে প্রযুক্তিতে আমেরিকা অনেক এগিয়েছে।

সুত্র; পার্সটুডে  
 

বিভি/ এসআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2