বাইডেন-মোদী বৈঠকে যা যা আলোচনা হলো

শুক্রবার প্রায় ৫০ মিনিট ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে ৫০ মিনিট ধরে বৈঠক হলো। এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭ লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিও জারি করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ভারতের দাবি তিনি সমর্থন করেন। ২০২৮-২৯ সালে ভারত আবার নিরাপত্তা পরিষদে নন-পার্মানেন্ট সদস্য হবে। তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জি২০-র পর ২০২৪ সালে ভারতে কোয়াডের শীর্ষবৈঠক হবে। সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

কোয়াডে অ্যামেরিকা ও ভারত ছাড়া আছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। মূলত, চীনের প্রভাবের মোকাবিলা করার জন্যই একজোট হয়েছে এই চার দেশ।

প্রদানমন্ত্রী মোদীও বলেছেন, কোয়াডের শীর্ষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডনকে স্বাগত জানাবার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। তাছাড়া অ্যামেরিকা যেভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশানস ইনিশিয়েটিভে(আইওপিআই) যোগ দিয়েছে এবং যৌথভাবে নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী।

ইন্দো-প্যাসিফিকে চীনের তৎপরতা নিয়ে অ্যামেরিকা ও ভারত উদ্বিগ্ন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মোদী-বাইডেন বৈঠকে এই বিষয়গুলি উঠে আসার আলাদা তাৎপর্য আছে।

দুই নেতাই বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় হয়েছে, দুই দেশের মানুষ আরো কাছাকাছি এসেছেন। দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত যৌথ কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ চাঁদে সফলভাবে পা রাখার জন্য বাইডেন মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলা হয়েছে, ইসরো ও নাসা সহযোগিতা ও সমন্বর করে চলছে। মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো নিয়েও ইসরোর সঙ্গে কথা বলছে ও সহযোগিতা করছে নাসা।

দীর্ঘ যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশ কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে ও করবে তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।