রুশ নৌ সদর দফতরে হামলা, দায় স্বীকার ইউক্রেনের

অধিকৃত ক্রিমিয়ার কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এ হামলা হয়। হামলার পরপরই দেওয়া বিবৃতিতে প্রথমে একজন নিহতের খবর জানিয়েছিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরবর্তী সময়ে বিবৃতি পাল্টা ‘হামলার পর বিস্ফোরণে একজন নিখোঁজ’ হওয়ার খবর দেয় মস্কো। হামলার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিমানবাহিনীর এক টেলিগ্রাম পোস্টে রুশ নৌবাহিনীর সদর দফতরে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর এক সূত্র জানায়, হামলায় ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে। ক্রিমিয়ার প্রায় ৫ লাখ বাসিন্দার শহর সেভাস্তোপলে নিযুক্ত রুশ-সমর্থিত গভর্নর শহরের কেন্দ্র থেকে সকলকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবহারিক এবং প্রতীকী উভয় কারণেই রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর সদর দফতর ইউক্রেনের প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে তার নৌ-জাহাজ থেকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল যার ফলে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল। এমনকি ইউক্রেন শস্য রফতানি করতে ব্যবহৃত কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক শিপিং রুটগুলোও অবরুদ্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমন আশঙ্কাও রয়েছে যে রাশিয়া সমুদ্র থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে আক্রমণ করতে কৃষ্ণ সাগরের এই সদর দপ্তরে অবতরণকারী জাহাজ ব্যবহার করতে পারে।
কৃষ্ণ সাগরের নৌবহর এই অঞ্চলে রাশিয়ার শত বছরের প্রাচীন সামরিক উপস্থিতির একটি প্রধান প্রতীক। ইউক্রেনীয় উপদ্বীপে তার দাবির ন্যায্যতা প্রমাণ করতে ক্রিমিয়ায় বারবার নৌবহরের উপস্থিতি ব্যবহার করেছে রাশিয়া। দুই দেশের যুদ্ধ শুরুর পর ক্রিমিয়ার নৌবহরে এটি ইউক্রেনের প্রথম হামলা।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: