• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১২ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি: সিএনএন সাংবাদিকের বিস্ফোরক তথ্য

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১১ মে ২০২৫

আপডেট: ১৮:২০, ১১ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি: সিএনএন সাংবাদিকের বিস্ফোরক তথ্য

ছবি: নিক রবার্টসন

পাকিস্তানের প্রবল জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারত, এমনই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন সিএনএনের সাংবাদিক নিক রবার্টসন। তিনি জানান, পাকিস্তানের শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ ভারতের অবস্থানকে নাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ভারত দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা কামনা করে।

শনিবার (১০ মে) দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিএনএনের সাংবাদিক নিক রবার্টসন দাবি করেন, পাকিস্তানের শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ ভারতের অবস্থানকে নাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ভারত দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা কামনা করে।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিক রবার্টসন বলেন, ‘ভারত যখন পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন পাকিস্তান প্রবল ও লাগাতার মিসাইল ও রকেট হামলা চালায় ভারতের সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি ও অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে। এতে ভারত চরম বিপাকে পড়ে — তারা বুঝতেই পারেনি কী ঘটেছে।’

দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা শুরু হয় ৭ মে, যখন ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে একটি ‘অপ্ররোচিত’ হামলা চালায় এবং এতে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশুও ছিলো। এর জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল এবং ডজনখানেক ড্রোন গুঁড়িয়ে দেয়।

এ সময় ভারত বেশ কিছু ড্রোন পাকিস্তানের আকাশসীমায় পাঠায়, যেগুলোর মধ্যে প্রায় ৮০টি গুলি করে ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এর জবাবে শনিবার সকালেই পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনইয়ান উন মারসূস’, যার লক্ষ্য ছিলো ভারতের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও উত্তর ভারতের একটি মিসাইল সংরক্ষণ কেন্দ্র।

এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘দীর্ঘ রাতব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আলোচনা শেষে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। সাধারণ বোধ ও বুদ্ধির সুন্দর ব্যবহারের জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন জানাই।’

সিএনএনের নিক রবার্টসন বলেন- উচ্চপর্যায়ের এক কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে ‘সামরিক বিরতি’ দিয়ে কূটনৈতিক পথ খোলা রাখে, কিন্তু ভারত যখন তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন পাকিস্তান তার সম্পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগে বাধ্য হয়। এরপরই ভারত দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সৌদি আরব ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মধ্যস্থতা চায়।

 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: