এবার কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চান ট্রাম্প

যুগের পর যুগ অমীমাংসিত এই কাশ্মীর সমস্যা। এর দখলদারী নিয়ে বরাবরই সংঘাতে রত ভারত-পাকিস্তান। এ নিয়ে কতো বার যে প্রাণঘাতী যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সাম্প্রতিক পাক-ভারত যুদ্ধের মূল কারণও কাশ্মীর।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার জ্বলন্ত এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। পাক-ভারত যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার পর এবারে এ বিষয়টির প্রতি নজর দিয়েছেন তিনি।
১১ মে নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে যে বিতর্ক চলমান তার একটি সমাধান খুঁজে বের করতে একযোগে ভারত ও পাকিস্তানের সাথে কাজ করবেন তিনি। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে এটিকে প্রয়োজনীয় মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পোস্টে কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কের জেরে সাম্প্রতিক যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে এবং শেষমেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হওয়ায় ভারত পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, সংঘাত বন্ধ করা প্রয়োজন, দুই দেশের নেতারা যে তা অনুধাবন করেছেন, এটি তাদের প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার প্রকাশ। সংঘাত চলতে থাকলে অনেক অনেক বেশি প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক যুদ্ধ যেভাবে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছিল, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প আরো বলেন, এই সংঘাতে কয়েক মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানি হতে পারতো। কিন্তু নায়কোচিত ও বীরত্বপূর্ণ মনোভাব দেখিয়ে এটি বন্ধ করা আগামীর জন্যও এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে অভিমত ট্রাম্পের। এটিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমের ওই পোস্টে ভারত ও পাকিস্তানকে মহান অভিহিত করে আগামীতে দুই দেশের সাথেই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় মার্কিন বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে শুরুতে পাক-ভারত যুদ্ধে বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখতে অনাগ্রহী হলেও হঠাৎই কেন নাটকীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যস্থতা করলো, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মূলত পাক-ভারত যুদ্ধ ঘিরে স্পর্শকাতর ও উদ্বেগজনক গোয়েন্দা তথ্যের জেরেই ওয়াশিংটন দ্রুততার সাথে এই যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগী হয়। সে লক্ষ্যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন দেন।
তবে ওই স্পর্শকাতর ও উদ্বেগজনক গোয়েন্দা তথ্য কী, স্পষ্টভাবে তা জানা যায়নি। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর হওয়ায় পরমাণুজনিত ঝুঁকি বাড়ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতার জন্য এগিয়ে আসে।
বিভি/এইচজে
মন্তব্য করুন: