• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

গাজায় ‘শহীদ মায়ের’ পেট থেকে সিজার করা সেই শিশুটি আর নেই

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
গাজায় ‘শহীদ মায়ের’ পেট থেকে সিজার করা সেই শিশুটি আর নেই

ছবি: ইনকিউবেটরে সাবরিন

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত মায়ের গর্ভ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিলো শিশু সাবরিনকে। রাফাহ হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্তকর চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। গেলো রবিবার মধ্যরাতের পর দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মৃত ফিলিস্তিনি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় শিশু সাবরিন আল-সাকানি। তার নাম রাখা হয়েছিলো মৃত মায়ের নামেই।

শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস সরবরাহ করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। শেষ পর্যন্ত তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার মারা গেছে শিশুটি। চিকিৎসকরা জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম গ্রহণের কারণে গুরুতর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলো শিশু সাবরিন। তাকে সমাহিত করা হয়েছে তার মায়ের পাশেই।

মৃত ফিলিস্তিনি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর দেখভাল করছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ সালামা। তিনি তখন বলেছিলেন, জরুরি সি-সেকশনের বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুটির প্রসবের সময় ওজন ছিলো ১ দশমিক ৪ কেজি। এই সময় শিশুটির মাতৃগর্ভে থাকার কথা ছিল। কিন্তু শিশুটির সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

শিশুটির মা, সাবরিন আল-সাকানি ৩০ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। শিশুটিকে রাফাহ হাসপাতালের ইনকিউবেটরে অন্য একটি শিশুর সঙ্গে রাখা হয়েছিল। তার বুকে টেপ দিয়ে লেখা ছিল ‘শহীদ সাবরিন আল-সাকানির সন্তান’। ছোট বোনের আগমনের অপেক্ষায় থাকা মালাক বোনের নাম রাখতে চেয়েছিলো ‘রুহ’। আরবি ভাষার এই শব্দটির বাংলা অর্থ হলো আত্মা।

সাকানির ছোট মেয়ে মালাক এবং তার স্বামী শুকরিও এই হামলায় নিহত হন। হামলায় ব্যাপকভাবে আহত সাবরিন মারা যান। তবে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সময় শিশুটি তার মায়ের গর্ভে বেঁচে ছিলো। উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত সাবরিনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটিকে প্রসবের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। সূত্র: বিবিসি

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2