যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেয়ে হানিয়াকে হত্যা করে ইসরাইল: ইরান
তেহরানে হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরো চিফ ইসমাইল হানিয়ার গুপ্তহত্যা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনে হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী ইসমাইল খতিব। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেয়েই ইসরাইল হানিয়ার ওপর গুপ্তহামলা চালায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার হামাস, হানিয়ার পরিবার ও ফিলিস্তিনি জনতার উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে হানিয়া হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন ইসমাইল খতিব।
চিঠিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা পেয়ে হানিয়াকে হত্যার মাধ্যমে ইসরাইল আরো একবার নিজের পাশবিক ও ইহুদিবাদি চেহারা তুলে ধরলো।
৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আল আকসা স্টর্ম অভিযানের বদলা হিসেবে হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এর মধ্য দিয়ে ওই অভিযান কতোটা সফলভাবে ইহুদিবাদিদের আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আল আকসা স্টর্মকে এক বিজয় বলে আখ্যা দেন এই মন্ত্রী।
এদিকে হানিয়া যে ভবনে অবস্থান করছিলেন সেটির ভেতর থেকে নয়, বাইরে থেকে রকেট বা প্রজেক্টাইল হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার ইরানে নিযুক্ত হামাসের প্রতিনিধি খালেদ কাদুমি বলেন, বিধ্বস্ত ভবনের সিলিং, দেয়াল ও ধ্বংসাবশেষের নমুনা থেকেই এমন ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আরো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলছে। ফলে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি বলে জানান কাদুমি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করে, হত্য্যাকাণ্ডের দুই মাস আগেই হানিয়া যে কক্ষে অবস্থান করছিলেন, সেখানে বিস্ফোরক যন্ত্র বসানো হয়। এ ধরনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কাদুমি। তিনি বলেন, এ ধরনের কথাবার্তা একেবারেই অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক।
বিভি/এইচজে
মন্তব্য করুন: