বিএসএফ-এর হাত থেকে বাঁচতে নদীতে লাফ, অতঃপর মৃত্যু
ছবি: ফাইল ফটো
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ-এর হাত থেকে বাঁচতে নদীর ঠান্ডা পানিতে লাফ দিয়েছেন এক মাদক চোরাকারবারি। পানিতে ৫ ঘণ্টা ডুবে থাকার পর এক মাদক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাকে কুখ্যাত আন্তঃসীমান্ত মাদক চোরাচালানকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
জানা গেছে ওই মাদক কারবারি জামিনে ছিলেন। বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এবং মুখপাত্র এন কে পান্ডে মৃত ওই যুবককে বাবাই বড়াই হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের ৫ম ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা শনিবার রাত ১১ টার দিকে চারজনকে কিছু মালামাল এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করতে দেখে। তার ভাষায়, ‘বিএসএফ জওয়ানরা কাছে আসতেই চারজন তাদের আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার জন্য এক বিএসএফ জওয়ান ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। গুলির আওয়াজ শুনে দু’জন দুষ্কৃতী ভারতের দিকে ফিরে যায়। আর বাকি দু’জন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
বিএসএফের এই ডিআইজি বলেন, বিএসএফের একটি কুইক রিঅ্যাকশন টিম (কিউআরটি) তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং নদীর উভয় তীরে তল্লাশি চালায়। তিনি আরও জানান, তল্লাশি অব্যাহত থাকে এবং ভোর ৪টার দিকে বড়াই ও তার সঙ্গীকে পানিতে ভাসমান কচুরিপানার তলায় পাওয়া যায়। পরে তাদের আটক করে আংরাইল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বাড়ই অসুস্থ বোধ করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নদীর দুই পাড়ে তল্লাশি চালিয়ে পরে ৫০০ বোতল তরল মাদক উদ্ধার হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: