• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসরাইল-মিশর বাদে সব দেশে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইসরাইল-মিশর বাদে সব দেশে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসার পরপরই একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে পূর্বসূরী জো বাইডেনের সিদ্ধান্ত ওলটপালট করে দিচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এরই অংশ হিসেবে এবারে প্রায় সব ধরনের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইসরাইল ও মিশর ছাড়া বাদবাকি সব দেশের জন্য কার্যকর এই স্থগিতাদেশ। এমনকি ইউক্রেনেও সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 
 
শুক্রবার মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এটি কার্যকরের ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন স্টেইট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও। অন্তত তিন মাস এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৮৫ দিনের কোন কোন খাতে বৈদেশিক সহায়তা চলমান থাকবে, আর কোন খাতে তা বন্ধ করে দেয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন স্টেইট সেক্রেটারি। 

কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিতে চান নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সে লক্ষ্যেই ইউক্রেনে সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত এলো। বাইডেন প্রশাসনের আমলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পেয়েছে কিয়েভ। এর জেরে যুদ্ধে আরো উত্তেজনা বেড়েছে বলে অভিমত অনেক বিশ্লেষকের। 

কেবল ইউক্রেন নয়, তাইওয়ানেও সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ইসরাইল ও মিশরকে সামরিক ও খাদ্য সহায়তা দেয়া চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্ট। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিপুল মার্কিন সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে ইসরাইল। এই ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, সমালোচনার মুখে বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলে অতি প্রাণঘাতী যেসব সমরাস্ত্রের সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেসব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।   

তবে সুদানসহ বিভিন্ন দেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা নতুন স্থগিতাদেশের বাইরে আছে। অন্যদিকে সব দেশের জন্য স্বাস্থ্যখাতের সহায়তা স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি বিশ্বব্যাপী এইডস মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বরাবর যে সহায়তা দিয়ে আসছে, তাও স্থগিত করা হয়েছে। এতে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলো বেশি ঝুঁকিতে পড়বে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 
 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও অনেক মানুষের জীবননাশের হুমকি তৈরি করবে বলে সতর্কতা জানাচ্ছে তারা। 

ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে পাগলামি বলে অভিযুক্ত করেছেন ইউএসএআইডি’র সাবেক কর্মকর্তা জেরেমি কনিন্ডিক। রয়টার্সকে তিনি বলেন, যেভাবে নির্দেশনা এসেছে, তা যদি সত্যি হয়, তাতে করে অনেক মানুষ মারা পড়বে। 

মানবাধিকার সংস্থা অক্সফ্যাম অ্যামেরিকার প্রধান অ্যাবি ম্যাক্সম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করলে অনেক দেশের মানুষ বিপদে পড়বেন। দ্বিদলীয় ঐক্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে যে সহায়তা দিয়ে আসছে, তারও পরিপন্থী এই সিদ্ধান্ত। সার্বিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ভয়াবহ পদক্ষেপ থেকে অবিলম্বে ট্রাম্প প্রশাসনকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা। 

বিভি/এইচজে

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2