• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সৈন্যদের পাশে পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকরা, ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২ মে ২০২৫

আপডেট: ১২:০২, ২ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সৈন্যদের পাশে পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকরা, ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আগ্রাসন নিয়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তানের হিন্দু নাগরিকরা। এদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কোটি বা তারও বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে পাকিস্তানে।

পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ যখন সামরিক সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় ভারতের প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। গত ৩০ এপ্রিল কোয়েটায় তারা ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে।

জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার জন্য পাকিস্তানের সমর্থন থাকার অভিযোগ তুলেছে ভারত। ফলে, নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। পয়লা মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সঞ্জয় কুমার নেমে এক আইনপ্রনেতা। তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ও বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। মিছিলে অংশগ্রহণকারী পুরুষ ও নারীরা হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছিল।

বিক্ষোভকারীরা কোয়েটার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে জোড় হন। সেখানে আয়োজিত এক সমাবেশে সঞ্জয় কুমার বলেন, পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন দেশটির সেনাবাহিনীর পাশে আছে। যদি ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ করার চেষ্টা করে, তবে এক কোটিরও বেশি হিন্দু নাগরিক সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রুখে দাঁড়াবে।

তিনি আরও বলেন, তারা বহুবার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী নয়। বরং ভারতই পাকিস্তানের ভাবমূর্তি নষ্ট করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্দেহের চোখে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারীও উপস্থিত ছিলেন। তারা ভারতের পদক্ষেপ ও বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এসময় তারা বলেন, ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৬০ সালের স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিচুক্তি ভারত এককভাবে বাতিল করতে পারে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন। এদিন, বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও ভারতের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এদিকে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরও ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি তারা সামরিক দুঃসাহস দেখায়, তবে পাকিস্তান তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে। এসময় একটি ট্যাংকের উপর দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কোনো বিভ্রান্তি নেই। ভারতের যেকোনো সামরিক আগ্রাসনের প্রতি পাকিস্তান দৃঢ়, দ্রুত ও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
 

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2