ইসরাইলের পথেই ভারত? পাকিস্তানে সামরিক অভিযানে নারী ও শিশু হত্যা

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কিছু বেসামরিক এলাকায় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নারী ও শিশুরা প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলা চালানো হয় গভীর রাতে। এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্ত (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভারতীয় বিমান হামলায় সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসময়, আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
এই হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার ৭ বছর বয়সী ছেলে নিহত হয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার ছোট ভাইও নিহত হন। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জিও টিভি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় বিমান হামলায় নিহত ৭ বছর বয়সী ইরতিজা আব্বাস তুরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহির আব্বাস তুরির পুত্র ছিলেন। নিহত ইরতিজার ছবি বর্তমানে পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
মুজাফফরাবাদ, কোটলি ও আহমদপুর শরকিয়ার মতো এলাকাগুলোকে এই হামলার লক্ষবস্তু বানানো হয়েছিল। কোটলির আব্বাস মসজিদের পাশের একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২২ বছর বয়সী মিসবাহ কাউসার ও তার ছোট ভাই উমর মুসা নিহত হন। মিসবাহ কোটলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পাকিস্তানের পূর্ব আহমদপুরের সুবহানুল্লাহ মসজিদে হামলায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ বছর বয়সী দুই কন্যাশিশু রয়েছে। এছাড়া, এই হামলায় নিহত হয়েছেন ৭ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। এসময়, ৯ নারী ও ২৮ জন পুরুষ অর্থাৎ ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
মুজাফফরাবাদে বিলাল মসজিদে হামলায় ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া, সেখানে ১ কন্যাশিশু ও ১ শিশুপুত্র আহত হয়। মুরিদকের উম্মুল কুরা মসজিদে হামলায় ৩ পুরুষ নিহত হন ও ১ জন আহত হয়েছেন। একই সময়, নীলম-ঝিলাম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নোসেরি বাঁধে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দম্ভ করে বলছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্কতা ও সংবেদনশীলতার সাথে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। তার মতে, এই পদক্ষেপের ফলে বেসামরিক মানুষের ওপর কোনো প্রভাবই পড়েনি।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথে ভারতের সেনাবাহিনী এই অভিযান চালিয়ে সব দেশবাসীর মাথা উঁচু করে দিয়েছে। নতুন ইতিহাস রচনা করেছে ভারতের সামরিক বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা এমনভাবেই করা হয়েছিল যে, নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলোকেই নিখুঁতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো বেসামরিক নাগরিক স্থাপনা বা বেসামরিক মানুষের ওপর সামান্যও প্রভাব পড়েনি-এতটাই সংবেদনশীল ছিল ভারতীয় বাহিনী। তিনি বলেন, ভারত শুধু তাদেরকেই বেঁছে মেরেছে, যারা ভারতের নিরীহ মানুষকে মেরেছিল।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: