গাজায় পৌঁছালো না গ্রেটা’র ত্রাণবাহী জাহাজ, ইসরাইলের হামলায় আরও ১০৮ জন নিহত

ফিলিস্তিনের গাজার দিকে রওনা দেওয়া আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ পৌছাতে না দিয়ে দখলে নিয়েছে ইসরাইল যেখানে আছেন সুইডিশ মানবাধিকারকর্মী গ্রেটাসহ ১২ জন। ইসরাইলি বাহিনীর জাহাজটি দখলের পর থেকে মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রবিবার (৮ জুন) আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে জাহাজটি আটক করে ইসরাইলি নৌবাহিনীর কমান্ডোরা। 

এদিকে, গাজায় ঈদুল আজহার মধ্যে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি ইসরাইলি তাণ্ডব। রবিবার (৮ জুন) দিনভর ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে অন্তত ১০৮ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে প্রায় চারশো জন। এ নিয়ে দেড় বছরে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ হাজার আটশো। ত্রাণের অপেক্ষায় দুর্বিষহ দিন পার করছেন লাখো ফিলিস্তিনি।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী জাহাজের যাত্রীদের ফোন ছুড়ে ফেলতে বলে। জাহাজ অনুসরণ করা সাংবাদিক ওমর ফায়াদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ হারিয়ে গেছে। সরাসরি সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে গেছে। ‘ম্যাডলিন’-এ  আন্তর্জাতিক সংহতি আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুয়াইদা আররাফ আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা এখন জাহাজটির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ পাচ্ছেন না। জাহাজের আশপাশে ইসরাইলি ড্রোন ও নৌযান ঘোরাফেরা করছিল। ড্রোন থেকে একটি সাদা রঙের রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ ছিটানো হয়। এতে কিছু যাত্রীর চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয়।

জানা যায়, ঘটনার আগে থেকেই জাহাজের ওপর ভয়ঙ্কর ভঙ্গিতে এগিয়ে আসছিল ইসরাইলের নৌবাহিনীর জাহাজগুলো। পরে জানা যায়, ‘ম্যাডলিন’ চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে ইসরাইলি নৌ-কমান্ডো এবং তারা জাহাজটি দখলে নেয়।

উল্লেখ্য, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের অংশ জাহাজটি ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গাজার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী- যেমন চিকিৎসা সরঞ্জাম, খাবার, শিশুদের দুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ কিট নিয়ে। ইসরায়েল আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তারা কোনো জাহাজকে অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছাতে দেবে না।