• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ইরানের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেন করায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোণঠাসা হলো ভারত

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৩:০৩, ১ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইরানের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেন করায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোণঠাসা হলো ভারত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করে আসছে আমেরিকা। ইরানকে কোণঠাসা করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে মার্কিনীরা। এবার ইরানের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের বাণিজ্যে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০টি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠানই ভারতীয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। গত ৩০ জুলাই এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করেছে যাতে ইরান অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়। তাদের দাবি ইরান যে আয় করছে তা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দেওয়া, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ জোগানো এবং নিজ দেশের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য ব্যয় করছে।

৬টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের একটি হলো আলকেমিক্যাল সলিউশন্স প্রাইভেট লিমিটেড যার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী, এই কোম্পানিটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইরান থেকে প্রায় ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছে।

ভারতের আরও একটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেডও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি ইরান থেকে মিথানলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে, যার মোট মূল্য ৫১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

ভারতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেডও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে জড়িত বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। তারা জানিয়েছে, এই কোম্পানি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ইরান থেকে টলুইনসহ মোট প্রায় ৪৯ মিলিয়ন ডলারের পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছে।

আরও রয়েছে রমনিকলাল এস গোসালিয়া এন্ড কোম্পানি। এই কোম্পানির বিরুদ্ধেও প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের মিথানল এবং টলুইন ক্রয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এরপর ভারতের পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইরানের পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আমদানি করেছে। এই আমদানির মধ্যে ইউএই ভিত্তিক বাব আল বরশা কোম্পানির পণ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া, কাঞ্চন পলিমার্স নামক একটি কোম্পানিও রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ট্যানাইস ট্রেডিং এর মাধ্যমে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ডলারের ইরানি পলিথিন আমদানি করেছে।

ফলে এই নিষেধাজ্ঞার কারণে কী ঘটতে পারে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, এই কোম্পানিগুলোর যেকোনো সম্পদ যদি যুক্তরাষ্ট্র বা তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে থাকে, তা জব্দ করা হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের ৫০% বা তার বেশি অংশ এই তালিকাভুক্ত কোম্পানির মালিকানায় থাকে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

এছাড়া, মার্কিন নাগরিকদের জন্য এসব কোম্পানির সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যদি না তা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য কাউকে সরাসরি শাস্তি দেওয়া নয়, বরং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আচরণে গঠনমূলক ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: