ঘূর্ণিঝড়ের দ্বিতীয় আঘাত চীনে, তীব্র ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত জনজীবন

ছবি: সংগৃহীত
এবার চীনের উপকূলবর্তী ফুজিয়ান প্রদেশে দাপট দেখিয়েছে ঘূর্ণিঝড় পোদুল। রয়টার্সের তথ্যমতে, ১৪ আগস্ট চীনের ঝাংপু অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় দ্বিতীয়বারের মত ব্যাপক শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে। ফুজিয়ান আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি পুরো এলাকাজুড়ে তাণ্ডব চালায়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি তাইতুং এলাকায় প্রথমবারের মত আছড়ে পড়ে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চীনের গুয়াংডং, গুয়াংসি, হুনান এবং গুয়িজৌ প্রদেশগুলোতে প্রবল ঝড় এবং ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এটি ফুজিয়ানে দ্বিতীয়বার আছড়ে পড়ার এর শক্তি কমে যাবে।
ঝাংপু এলাকার ঝাংঝোউ শহরের একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুরক্ষা ক্যামেরায় দেখা যায়, পোদুলের আগমনের আগেই সেখানে বাতাসের তীব্র গতিবেগের সাথে ভারী বর্ষণে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড়টি ফুজিয়ানের উপকূলে পৌঁছানোর পর এটি শক্তি সঞ্চার করে। এদিকে চীনের জিয়ামেন শহরে বাতাসের গতি অনেক বেশি অনুভূত হয়। জিয়ামেনে বিদ্যুৎ সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটে। ফলে সেখানে ৬৬০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করে স্থানীয় জরুরি সেবা সংস্থাগুলো। এছাড়া, ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে ১০০টিরও বেশি জরুরি যানবাহন সরবরাহ করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ মিলিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে শিশি শহরে উপকূলবর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই ৭২০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া ১৪ আগস্ট সকালে প্রবল বৃষ্টিপাত হয় হংকংয়েও। এই কারণে সেখানে সর্বোচ্চ মাত্রার বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়। সতর্কতা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত হংকংজুড়ে সমস্ত আউটডোর মেডিকেল সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দুর্ঘটনা ও জরুরি সেবা বিভাগ খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া ভারী বর্ষণের কারণে নিজেদের সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ডাক বিভাগও।
গত ১৩ আগস্ট টাইফুন পোদুল তাইওয়ানে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। টাইফুনের তাণ্ডবে সেখানে অন্তত ১৪৩ জন আহত হন। এমনকি নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এবার ঘূর্ণিঝড়টি চীনের মাটিতে কতটা ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আসবে তা নিয়েই এখন জনগণের নজর নিবদ্ধ। মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত কয়েক দশকে সর্বাধিক প্রবল বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও ভেঙে যায়।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: