ভারত-পাকিস্তানে বন্যায় দুর্ভোগ, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বাড়ছে সমস্যা

ছবি: সংগৃহীত
ভারত এবং পাকিস্তানে বন্যার ভয়াবহ প্রভাব দেখা দিয়েছে। প্রকৃতির রোষের মুখে দুর্বিষহ অবস্থায় পড়েছে মানুষ। বন্যার কারণে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে অঞ্চলের লোকজন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ আগস্ট ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানির তীব্র স্রোত ও বন্যার কারণে কমপক্ষে ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইতেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সমস্যা। বন্যার কারণে বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। আগামী ২৪ ঘণ্টা রাজ্যের কিছু উপকূলীয় জেলায় বন্যা ও প্রবল বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
ভারতের মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭৫ শতাংশই বর্ষা মৌসুমে হয়ে থাকে। এই বৃষ্টিপাত দেশের কৃষির জন্য অত্যন্ত লাভজনক, কারণ দেশের অর্ধেকের বেশি কৃষি জমিতে সেচের সুবিধা নেই। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি প্রায়ই বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে কিছু অঞ্চলে প্রচণ্ড বর্ষণের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ দেখা দেয়।
অন্যদিকে, পাকিস্তানেও বন্যার ব্যাপক তাণ্ডব চলছে। অচল হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। পাকিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গত ১৯ আগস্ট করাচিতে তীব্র মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও ঝড় হয়েছে। এতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট। বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরে প্রায় ১৪৫ মিলিমিটার পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে করাচিসহ পাকিস্তানের অন্যান্য বড় শহরেও বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল মৌসুমি বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, করাচিসহ কয়েকটি জেলায় ২১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও মাঝে মাঝে বৃষ্টি বন্ধও থাকতে পারে।
পাকিস্তানের পার্বত্য অঞ্চলে গত ১৫ আগস্ট আকস্মিক বন্যা হওয়ার পর থেকে এমন পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। সেসময় এক ঘণ্টার ভেতর ১০০ মিলিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাকিস্তানে তীব্র ঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বাংলাদেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পরবর্তী ২ দিনে এটি বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সময় তিস্তা নদীর পানি নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: