আল-আকসার নিচে গোপনে খনন কাজ চালাচ্ছে ইসরাইল, উদ্দেশ্য কী?

ছবি: মসজিদ আল আকসা
আল-আকসা মসজিদের নিচে গোপন খনন কাজ চালাচ্ছে ইসরাইল। এমন অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি প্রশাসন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। তারা বলছে, আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে দিয়ে শহরকে ইহুদিকরণের ষড়যন্ত্র চলছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জেরুজালেম গভর্নরেট জানায়, ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে ইসরাইলি বাহিনী আল-আকসার নিচে বেআইনি খনন কাজ চালাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে উমাইয়া যুগের ইসলামি প্রত্ননিদর্শন ধ্বংস করছে। এগুলো মুসলমানদের এই স্থানের ন্যায্য মালিকানার জীবন্ত প্রমাণ ও সুস্পষ্ট দলিল।
তাদের দাবি, ‘আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে এবং কথিত ‘টেম্পল মাউন্ট’ বর্ণনাকে জোরালো করার জন্য ইসরাইল এসব ইসলামি নিদর্শন ধ্বংস করছে।’
গভর্নরেট সতর্ক করে আরও জানায়, আন্তর্জাতিক তদারকি এড়িয়ে গোপনে এই খননকাজ করা হচ্ছে। এতে মসজিদটির ভিত্তি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, এসব খননের মাধ্যমে ইসরাইল ‘পূর্ব জেরুজালেমকে ইহুদিকরণের পরিকল্পনায় নতুন বাস্তবতা চাপিয়ে দিতে চাইছে।’
গভর্নরেট আন্তর্জাতিক মহল, জাতিসংঘ ও তার সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে এসব লঙ্ঘন বন্ধ করা এবং দখলদার ইসরাইলকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, ইসরাইল বহু বছর ধরেই আল-আকসার নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে। ফিলিস্তিনিদের মতে, এর সবই পূর্ব জেরুজালেমকে ইহুদিকরণের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। ২০১৩ সালের মার্চে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক চুক্তি সই করেন। এতে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের সব পবিত্র স্থানের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব জর্ডানকে অর্পণ করা হয়।
আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা একে টেম্পল মাউন্ট নামে অভিহিত করে। ইহুদিদের দাবি, এখানেই তাদের প্রাচীন দুটি মন্দির ছিলো।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: